পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যজোট সরকার (জিএনএ) মাত্র সাত ঘন্টায় মধ্যে বিদ্রোহী খলিফা হাফতার বাহিনীর কাছ থেকে ছয়টি শহর এবং দুটি কৌশলগত অঞ্চলের দখল নিয়ে নিয়েছে। সোমবার তুরস্কের সমর্থনে তারা এই সফলতা অর্জন করে। এলাকাগুলো হলো- সারমান : মুক্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতপূর্ণ হল সারমান শহর। রাজধানী ত্রিপোলির সাথে তিউনিসিয়া সীমান্তের সংযোগ রক্ষাকারী উপক‚লীয় সড়কের উপর অবস্থিত এই কৌশলগত শহরের জনসংখ্যা আনুমানিক ৪০ হাজার। ত্রিপোলির ৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত এই শহরটি নিয়ে হাফতারের মিলিশিয়া এবং জিএনএ বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিন সংঘর্ষ চলছিল। এই শহরটি হাফতারের নিয়ন্ত্রণে থাকলে পশ্চিম ত্রিপোলির বাকী এলাকাও দখল করা তার জন্য সহজ হত। সাব্রথা : সাব্রথা শহরটি ত্রিপোলি থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যার জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার। এটি জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক থেকে রাজধানীর পশ্চিমে অবস্থিত বৃহত্তম শহরগুলির মধ্যে একটি। সাব্রথাও উপক‚লীয় সড়কের উপর অবস্থিত যা তিউনিসিয়াসহ অন্যান্য দেশে বাণিজ্যিক বিনিময় এবং যাত্রী পরিবহণের জন্য খুবই গুরুতপূর্ণ। আল-আজিলাত : এইশহরটি ত্রিপোলি থেকে ৮০ কিলোমিটার দ‚রে অবস্থিত এবং এর জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার। শহরটি উপক‚লীয় রাস্তা থেকে কয়েক কিলোমিটার দ‚রে অবস্থিত। এটি হাফতারের মিলিশিয়াদের অন্যতম প্রধান দুর্গ ছিল। জিনতান সামরিক কাউন্সিলের কমান্ডার ওসামা আল-জুওয়াইলি জিএনএ-এর প্রতি আনুগত্যে প্রকাশ করার পরে, এই শহরে ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন আসে। জুমাইল : ত্রিপোলি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যার জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ। শহরটি আরব উপজাতি অধ্যুষিত। এটি উপক‚লের অ্যামেজিগ জুওয়ারা এবং অ্যামেজিগের পর্বতের মধ্যে একটি মানবিক এবং ভৌগলিক বাধা তৈরি করেছে। অঞ্চলটির বেশিরভাগ হাফতারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। যদিও আল-জুওয়াইলিরও সেখানে কিছুটা প্রভাব রয়েছে। এছাড়াও, আল-জুফরা এয়ারবেস (ত্রিপোলি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে) প্রশাসনিকভাবে জুমাইল শহরের অন্তর্গত। রিকদালিন: ত্রিপোলি থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে এবং জুওয়ারা উপক‚ল থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যার জনসংখ্যা প্রায় ৩৬ হাজার। নগরটির জনতাত্তি্বক ও রাজনৈতিক কাঠামো জুমাইলের মতোই, কারণ এথানে আল-জুওয়াইলি বাহিনীর উপস্থিতি সত্তে¡ও হাফতারপন্থী আরব উপজাতিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। গত ২৫ মার্চ হাফতার শহরটি পুনরুদ্ধার করেছিলেন। জাল্টান : এটি একটি ছোট শহর, যার জনসংখ্যা মাত্র ২৫ হাজার। এটি তিউনিসিয়ার সীমানা থেকে অনেক দূরের উপক‚লীয় সড়কের শেষ শহর। শহরটি ত্রিপোলি থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে এবং এটি জিএনএ সরকারকে সমর্থন করার জন্য পরিচিত। জিএনএ বাহিনী আল-ওয়াটিয়া সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর পরে হক ২৫ মার্চ হাফতারের মিলিশিয়ারা এটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছিল। আল-আসাহ: এটি তিউনিসিয়া সীমান্তের নিকটে এবং রাস জেদির ক্রসিংয়ের দক্ষিণে অবস্থিত। এটি প্রশাসনিকভাবে রিকদালিন শহরের অন্তর্গত। আল-আসার কৌশলগত গুরুত্ব হচ্ছে, এখানে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শিবির রয়েছে, যা চোরাচালানের উপর নজরদারি চালানোর জন্য নিয়োজিত। ২০১৪ সাল থেকে বেশ কয়েকটি দল কৌশলগত তাৎপর্য বিবেচনা করে এই শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করেছে। মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।