পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ত্রাণ চুরি বন্ধ হোক
অসহায় মানুষদের জন্য ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম বাংলাদেশ সরকারের একটি চলমান প্রক্রিয়া। ত্রাণ দিয়ে প্রতিনিয়তই দেশের অসহায় মানুষদের সেবা করে যাচ্ছে সরকার। এই সেবা প্রদান সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। এছাড়াও দেশের দুর্যোগকালে দুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম প্রক্রিয়া ভীষণ উপকারে আসে। দুর্যোগ আসবেই। আল্লাহর সাহায্য চেয়ে সেই দুর্যোগের মোকাবেলা করতে হবে। বর্তমানে একটি দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছি আমরা। যার নাম করোনাভাইরাস। এই ভাইরাস পুরো বিশ্বকে মারাত্মকভাবে বিপদে ফেলেছে। প্রতিনিয়তই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। এ দুর্যোগ থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য অর্থনৈতিক ক্ষতিকে উপেক্ষা করে সরকার দেশের প্রায় সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। অঘোষিত লকডাউন চলছে সারাদেশে। এই সময় হত দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষরা সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে। দিনে আনে দিনে খায় এমন মানুষরা না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। ফলে বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী অসহায়দের জন্য বড় ধরনের ত্রাণ বরাদ্দ করেছেন। ঠিক এমন সময় দেশের এক শ্রেণির মানুষ নিজের সম্পদ বাড়ানোর জন্য গরিবের ত্রাণ চুরি করছে। বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের অনেক অসাদু গণপ্রতিনিধি ত্রাণ চুরির কাজে সম্পৃক্ত বলে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারী থাকা সত্তে¡ও ত্রাণ চুরির ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। তবে ত্রাণ চুরির ঘটনা বাংলাদেশের নতুন কোনো সংবাদ নয়। এখন ভাববার বিষয়, দেশের ক্রান্তিকালে যারা গরিবদের ত্রাণ চুরি করছে তারা অন্য সময়ে কতটা চুরি করেছে? বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি পেয়েছি একটা চোরের খনি’। বঙ্গবন্ধুকন্যার আমলেও চোরেরা থেমে নেই। বালিশ কিনে চুরি করে, পর্দা কিনেও চুরি করে। এমনকি করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণও চুরি হচ্ছে অবাধে। তাহলে কি এই চুরি কখনই থামবে না? আমরা বিশ্বাস করি, নিশ্চয় থামানো যাবে এই চোরদের, যদি প্রধানমন্ত্রী কঠোর হস্তে এদের দমনের উদ্যোগ নেন। তাই তো বলি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি চোরদের ধরুন। কঠিন শাস্তির ব্যাবস্থা গ্রহণ করুন। তা নাহলে করোনাজনিত কারণে দুর্ভোগে পড়া মানুষদের বাঁচানো যাবে না।
মো. আজিনুর রহমান লিমন
ডিমলা, নীলফামারী।
গণমাধ্যমকর্মীরাও করোনাযোদ্ধা
মন্ট্রিল থেকে ক্যানবেরা, টোকিও থেকে লিমা বর্তমান বিশ্বে একটায় হট টপিক করোনাভাইরাস। চীনে সর্বপ্রথম আবির্ভাবের পর করোনাভাইরাস এখন তার তান্ডবলীলা চালাচ্ছে বিশ্বের প্রায় প্রতিটা দেশে। প্রতিদিনই দেশে দেশে বাড়ছে লাশের মিছিল, বাড়ছে লকডাউনের ব্যাপ্তি, বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত গবেষণা, আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা, ভাইরাসের বিস্তার রোধে করণীয় কার্যাবলী, সরকার প্রধানদের ব্রিফিং ইত্যাদি বিষয়ের খবরাখবর পাওয়ার মূল উৎস হিসেবে কাজ করছে গণমাধ্যম। করোনাভাইরাস মোকাবেলার অন্যতম উপায় জনসাধারণের ভিতর সচেতনতা বৃদ্ধি করা। আর এই কাজটির পেছনের কারিগরেরাও গণমাধ্যমকর্মী। করোনার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে তারা অস্ত্র হিসেবে হাতে মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা তুলে কাজ করছেন করোনা চিকিৎসা ব্যাবস্থার চিত্র তুলে ধরতে এবং করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের খবরাখবর প্রচার করতে। এই কাজটি গণমাধ্যম যেভাবে করছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার । করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার সারিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, চিকিৎসক, নার্স, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সেচ্ছাসেবকদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করোনার সাথে লড়ে যাচ্ছেন গণমাধ্যম কর্মীরাও। করোনার এই সংকটকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি সত্তে¡ও পেশাগত দায়িত্ব ও সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে গণমাধ্যম কর্মীরা প্রতিনিয়ত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করে দেশের বিরাট জনগোষ্ঠির মাঝে করোনাবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির যে অবদান রেখে চলেছে তা তাদেরকেও ওই চিকিৎসক ও নার্সদের সমতুল্য করে তুলেছে। সবার এই সম্মিলিত চেষ্টায় করোনার ভয়াল থাবা থেকে পৃথিবী মুক্তি লাভ করবে। পৃথিবী ফিরবে তার আগের নিয়মে। মানুষ পাবে মুক্তি। তাই, এই বিবেচনায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিও সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের দৃষ্টি থাকা প্রয়োজন।
রাসেল খান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।