বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফেনীতে ফেসবুক লাইভে এসে নিজ স্ত্রী তাহামনা আক্তারকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছেন পাষণ্ড স্বামী ওভায়দুল হক টুটুল (৩২)। আজ দুপুরে ফেনী পৌরসভার বারাহীপুর ভূইয়া বাড়িতে এই জগন্যতম হতাকান্ডটি ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী টুটুলকে আটক করেছে ফেনী মডেল থানা পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত তাহমিনা কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতি আকদিয়া গ্রামের সাহাব উদ্দিনের কন্যা।
নিহতের বোন রেহানা আক্তার জানান, গত ৫ বছর আগে টুটুলের সাথে আমার বোন তাহমিনার বিয়ে হয়। এর আগে তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। তিনি জানান, বিয়ের পর থেকে তারা প্রায় সময় ঝগড়া করত। টুটুল বিভিন্ন সময় তার স্ত্রীর মাধ্যমে শ্বশুর বাড়ি থেকে বেশ কিছু টাকা নিয়েছেন। পরে বাপের বাড়ি থেকে আরও টাকা আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করে জ্বালাতন করত তাহামিনাকে। এ কারনে হয়তো হত্যার শিকার হয়েছে আমার বোন। এদিকে স্ত্রী তাহামিনাকে হত্যার আগে টুটুল মোবাইলে ফেসবুক লাইভে এসে একটু কথা বলেন,পরে দা বা চুরি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জবাই করে হত্যা করেন। তারপর আবার লাইভে এসে টুটুল বলেন প্রিয় দেশবাসী আমাকে ক্ষমা করে দেবেন,আজকে আমার কারনে আমার পরিবার ধ্বংস। যার কারনে ধবংস আজকে তাকে আমি ধবংস করে দিলাম। আমি চেষ্টা করেছি কিন্ত পারি নাই। আল্লাহর ওয়াস্তে সবাই আমাকে মাফ করে দেবেন। আমার এতিম মেয়েটার প্রতি খেয়াল রাখবেন। আমার ভাইবোনগুলোর প্রতি খেয়াল রাইখেন। আমার পরিবার ভাইবোনের কোন দোষ নেই। কেউ এই কাজে সম্পৃক্ত না। আমার আজকের এ ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ আমি দায়ি। প্লিজ সবার কাছে আমার একটাই অনুরোধ আমার ভিডিওটা ভাইরাল করেন। যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। আর এ ঘটনার জন্য আমিই একমাত্র দায়ি। আর কেউ নয়। এরপর দা হাতে নিয়ে ছুটে গিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে টুটুল। আবার বলেন আমার পরিবার সবসময় বø্যাকমেইল করে। আজ থেকে আর কেউ বø্যাকমেইল করবে না। খোদা হাফেজ সবাই ভালো থাকবেন। ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান, পারিবারিক কলহে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি। টুটুল তার স্ত্রীকে হত্যাকরে পুলিশকে খবর দেয়। তারপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে এবং তার ব্যবহৃত দা ও মোবাইল জদ্ব করা হয়। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডটি কেন করেছেন বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখব। দম্পতির দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।