Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

সউদীতে করোনা আক্রান্তদের জমজমের পানি খাওয়ানোর নির্দেশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ৪:৩২ পিএম

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস কোডিভ-১৯ সউদী আরবে আক্রান্ত রোগীদের জমজমের পানি সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির হারামাইন প্রেসিডেন্সির প্রধান ড. শায়েখ আবদুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আস সুদাইস। সামাজিক ও জাতীয় দায়িত্ববোধ থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন। শায়েখ সুদাইসের ঘোষণার পর থেকে সউদী আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জমজমের পানি বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ ছাড়া পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনা মসজিদে নববীর অধিদপ্তরও তাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে শুধুমাত্র প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য জমজমের পানি বিতরণ করছেন। সম্প্রতি মদিনা সফরকালে সেখানে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীদের মাঝে জমজমের পানি বিতরণ করেন হারামাইনের প্রেসিডেন্ট শায়েখ আবদুর রহমান আস সুদাইস। উল্লেখ্য, জমজম মক্কার মসজিদুল হারামের কাছে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ কূপ।
পবিত্র কাবা ও এই কূপের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ৩৮ গজের। হজ ও উমরা আদায়কারীর জন্য বিশেষভাবে এবং পৃথিবীর সব মুসলমানের জন্য সাধারণভাবে জমজমের পানি পান করা মুস্তাহাব। সহিহ হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে জমজম থেকে পানি পান করেছেন। সাহাবি হযরত আবু জর (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি বরকতময়, স্বাদ অন্বেষণকারীর খাদ্য।’
কোনো কোনো হাদিসে জমজমের পানিকে ‘রোগীর ওষুধ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আম্মাজান হযরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজের সঙ্গে পাত্রে ও মশকে করে জমজমের পানি বহন করতেন। তা অসুস্থদের ওপর ছিটিয়ে দিতেন এবং তাদের পান করাতেন। সুনানে তিরমিজির এ বর্ণনা থেকে এ কথাও জানা যায় যে, জমজমের পানি বহন করা জায়েজ।
আর যারা জমজম কূপের কাছে নয়, তাদের পান করানো নববী সুন্নত। জমজমের পানি পান করার সময় একটি বড় কাজ হলো- দোয়া করা। হযরত জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি যে উদ্দেশ্য নিয়ে পান করবে তা পূরণ হবে।’ বিখ্যাত বুজুর্গ ও মনীষীরা জমজমের পানি পানের সময় বিভিন্ন দোয়া করতেন। সউদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বুধবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৩৬৯ জন। এই ভাইরাসে ১৭ জন বাংলাদেশিসহ সর্বমোট মা’রা গেছেন ৭৩ জন। আর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৮৮৯ জন।



 

Show all comments
  • Sahih ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ৮:০৩ পিএম says : 0
    তিনটি জিনিসের মধ্যে রোগের নিরাময় আছে উটের মূত্র পান গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) হাদিস নম্বরঃ [4246] অধ্যায়ঃ ২৯। কাসামাহ্ (খুন অস্বীকার করলে হলফ নেয়া), মুহারিবীন (লড়াই), কিসাস (খুনের বদলা) এবং দিয়াত (খুনের শাস্তি স্বরূপ জরিমানা) (كتاب القسامة والمحاربين والقصاص والديات) পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি পরিচ্ছদঃ ২. শক্র সৈন্য এবং মুরতাদদের বিচার ৪২৪৬-(১০/…) আবূ জাফার মুহাম্মাদ ইবনু সাব্বাহ ও আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ….. আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, “উকল” গোত্রের আটজনের একটি দল রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলো। তারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ইসলামের উপর বাই’আত করল। অতঃপর মাদীনার আবহাওয়া তাদের প্রতিকূল হওয়ায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে এ ব্যাপারে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট অভিযোগ করল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কি আমাদের রাখালের সাথে গমন করে উটের মূত্র এবং দুগ্ধ পান করতে পারবে? তখন তারা বলল, জী- হ্যাঁ। এরপর তারা বের হয়ে গেলে এবং এর (উটের) মূত্র ও দুগ্ধ পান করল। এতে তারা সুস্থ হয়ে গেল্ অতঃপর তারা রাখালকে হত্যা করে উটগুলো হাঁকিয়ে নিয়ে গেলে। এ সংবাদ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পৌছল। তিনি তাদের পিছনে লোক পাঠালেন। তারা তাদেরকে পাকড়াও করে নিয়ে এল। তাদের প্রতি নির্দেশ জারি করা হল। তখন তাদের হাত-পা কৰ্তন করা হল এবং তপ্ত লৌহ শলাকা চোখে প্রবেশ করানো হলা। এরপর তাদেরকে রৌদ্রে নিক্ষেপ করা হলো। অবশেষে তারা মারা গেল। ইবনু সাব্বাহ (রহঃ) … বর্ণনা وَطَرَدُوا الإِبِلَ এর স্থলে وَاطَّرَدُوا النَّعَمَ উল্লেখ রয়েছে। রাবী বলেন, অতঃপর তাদের চোখগুলো উপড়ে ফেলা হল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪২০৭, ইসলামিক সেন্টার ৪২০৭) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) হাদিস নম্বরঃ [4208] অধ্যায়ঃ ২৯/ ‘কাসামা’-(খুনের ব্যাপারে বিশেষ ধরনের হলফ করা), ‘মুহারিবীন’ (শত্রু সৈন্য), ‘কিসাস’ (খুনের বদলা) এবং ‘দিয়াত’ (খুনের শাস্তি স্বরূপ অর্থদন্ড) (كتاب القسامة والمحاربين والقصاص والديات) পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচ্ছদঃ ২. শত্রু সৈন্য এবং মুরতাদের বিচার ৪২০৮। হারুন ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট “উকল” অথবা “উবায়না” সম্প্রদায়ের একদল লোক এল। মদিনার আবহাওয়া তাদের (বসবাসের) জন্য অনুপযোগী হল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে “লিকাহর” (দুগ্ধবতী উটনীর) ব্যাপারে নির্দেশ দিলেন। তাদেরকে আরো নির্দেশ দিলেন এর মূত্র ও দুধ পান করার জন্য। এই হাদীসটি হাজ্জাজ ইবনু আবূ উসমানের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ অর্থে বর্ণিত হয়েছে। এতে রাবী বলেন যে, এবং তাদের চোখগুলো উপড়ে ফেলা হল ও তাদের রৌদ্রে নিক্ষিপ করা হল। তারা পানি (পান করতে) চাইল, কিন্তু তাদেরকে পানি পান করানো হল না। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ) হাদিস নম্বরঃ [5278] অধ্যায়ঃ ৬৩/ চিকিৎসা পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন‏ পরিচ্ছদঃ ২২৭৪. তিনটি জিনিসের মধ্যে রোগের নিরাময় আছে ৫২৭৮। হুসায়ন (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তিনটি জিনিসের মধ্যে রোগমুক্তির ব্যবস্থা নিহিত আছে। মধু পান করা ও ব্যবহার করা, শিঙ্গা লাগান এবং আগুন (তপ্ত লৌহ) দিয়ে দাগ লাগানো। তবে আমি আমার উম্মতকে আগুন দিয়ে দাগ লাগাতে নিষেধ করছি। হাদীসটি “মারফূ”। কুম্মী হাদীসটি লায়স, মুজাহিদ, ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে فِي الْعَسَلِ وَالْحَجْمِ‏ শব্দে বর্ননা করেছেন। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ