বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসি বাংলাদেশিরা প্রাণঘাতি
করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বেড়েই চলছে। প্রাণঘাতী
করোনাভাইরাসে মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আসুদ আহমেদ বলেন, কাতারে ৫ শতাধিক বাংলাদেশি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেখানকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং চিকিৎসাধীন থাকা ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে গত শনিবার দোহায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তৃতীয় বাংলাদেশির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। কাতারে
করোনাভাইরাসে প্রথম বাংলাদেশির মৃত্যু হয় ২৩ শে মার্চ। ওই বাংলাদেশি ৩৫ বছর ধরে কাতারে ছিলেন। বাংলাদেশে ছুটি কাটিয়ে গত ৬ই ডিসেম্বর তিনি কাতারে যান। তিনি চার সন্তানের জনক। ৩১ শে মার্চ কাতারে
করোনায় দ্বিতীয় বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। ৫৮ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশির নাম আবুল কাসেম। তার দেশের বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে।
কাতারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ বলেন, কাতারে মোট আক্রান্তদের মধ্যে ৩৭৩ জন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। কিন্তু এর মধ্যে কোন বাংলাদেশি আছেন কিনা তা জানানো হয়নি। এমনকি এখন নতুন সুস্থ বা অসুস্থ কারও ন্যাশনানিলিটি প্রকাশ করে না কাতার কতৃপক্ষ।
গত সপ্তাহেই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ শতাধিক বাংলাদেশি আক্রান্তে কথা জানায় দেশটির স্বাস্থ্য বিষয়ক জাতীয় কমিটি। তবে পরবর্তীতে আরও কিছু লোক আক্রান্তের খবর কমিউনিটি মারফত পেলেও দোহা আনুষ্ঠানিকভাবে না বলা পর্যন্ত তারা সেই সংখ্যার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেছেন না।
কাতারে
করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকায় বাংলাদেশিদের আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে,
করোনাভাইরাসে কাতারে মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৪২৮ জনে। কাতারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের দেশে আক্রান্তদের মধ্যে ৩৭৩ জন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফিরেছে।
ঢাকার সরকারি কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য মতে, কাতারে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন লাখ বাংলাদেশি কাজ করছে।