Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে গ্রীষ্মের উচ্চতাপে লককাউন ভাঙার আশঙ্কা

কোয়ার্টজ | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫০ পিএম

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৪ মার্চ থেকে ২১ দিনের জাতীয় লকডাউন ঘোষণা করে ভারত। এর মধ্যে গ্রীষ্মের বাড়স্ত তাপ দেশটির বিশাল বস্তিগুলোর জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা গায়ে গা ঠেকিয়ে বসবাস করা ঘিঞ্জি বস্তিগুলিতে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়ে উদ্বেগ করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসের পরিবেশগত স্বাস্থ্য গবেষক তানিয়া সিং বলেছেন, ‘সাধারণত লোকেরা বাইরের শীতল তাপমাত্রায় ঘুরে বেড়াতে বা তাদের বাড়ির সামনে বসে থাকতে পারে, তবে এই মুহ‚র্তে এটি সম্ভব নয়। নিম্ন আয়ের বসতিগুলিতে উচ্চ তাপমাত্রার সময় বায়ুচলাচল সীমিত এবং দীর্ঘমেয়াদীভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।’
তবে, বিদ্যমান বস্তি পুনর্বাসন আবাসন-এসআরএইচ ইউনিটগুলিতেও নিম্নমানের বায়ুচলাচল ও তাপ আটকে থাকার জায়গা রয়েছে। এবং সূর্যালোকের অপর্যাপ্ততা রয়েছে। শক্তির সুব্যবহার ও জ্বালানী নীতি নিয়ে কাজ করা যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের রমিত দেবনাথ বলেছেন, করোনা মোকাবেলায় তাজা বাতাসের চলাচল ও প্রবাহের উপর জোর দিতে হবে।
দেবনাথ বলেন, ‘স্বল্প আয়ের বসতিগুলির জন্য বিল্ডিং ডিজাইনগুলি স্থাপত্যের দূরত্ব সংক্রান্ত সুপারিশ মেনে চলে না। প্রচন্ড উত্তাপ পরিবেশের দিক থেকে নিম্ন আয়ের পাড়াগুলিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলবে। বিশেষত মুম্বাইয়ের এসআরএইচগুলিতে কোনও বায়ু প্রবাহের পথ নেই এবং রুমগুলিতে তাজা বাতাসের কোনও প্রবাহ নেই এবং বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য জরুরি তাজা বাতাসের গুরুত্বের উপর জোর দিচ্ছেন।’
মহিলা হাউজিং ট্রাস্ট-এমএইচটি’র শিরাজ হিরানী নগরের বস্তিগুলিকে উচ্চ তাপমাত্রা এবং বন্যার মতো আবহাওয়া পরিবর্তন সম্পর্কিত সমস্যাগুলির সাথে মানিয়ে নিতে সহায়তা করছেন। তিনি বলেন, ‘মুম্বাইয়ের যেসব বস্তিতে উন্মুক্ত জায়গা রয়েছে এবং অতিরিক্ত ঘিঞ্জি নয়, এমন বস্তিগুলিতে আমরা সবুজ ছাদ স্থাপনে সাহায্য করেছি। সেখানে শাকসব্জী জন্মানোর সাথে টেরেস বাগান রয়েছে। এতে তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেয়েছে এবং বাসিন্দারাও তাদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য সবজি পান।’
দেবনাথ আরো বলেন, ‘আমাদের শহরগুলির হটস্পট মানচিত্র থাকা প্রয়োজন যা হিটওয়েভের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলিকে নির্দিষ্টভাবে নির্দেশ করতে পারে। হটস্পটগুলির মধ্যে আমাদের সম্ভাব্য কোয়ারেন্টাইন অঞ্চলগুলি খুঁজে বের করতে হবে যে স্থানগুলোতে তুলনামূলকভাবে ঘনবসতি কম বা তাপমাত্রা ও বায়ুর চলাচল পরিমিতভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং সংক্রমণের বিস্তারকে রোধ করা যেতে পারে।



 

Show all comments
  • Sayanti Saha ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ২:২৯ এএম says : 0
    লকডাউনে আরও একটি বড় সমস্যা হচ্ছে কোনো ডাক্তার চেম্বারে বসছেন না। কিছু হলে ডাক্তার দেখাতে পারছি না। হসপিটালে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সেখানে ভিড়, আর গেলেই আগে যেন করোনার চিকিৎসা। বিচ্ছিরি ব্যবস্থা এটা। সরকারের উচিৎ এদিক টা লক্ষ্য রাখা যাতে ডাক্তাররা অন্তত কিছু সময়ের জন্য চেম্বার করেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Banshidhar Ghosh ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ২:৩০ এএম says : 0
    অদ্ভুত আঁধার নামতে চলেছে,পৃথিবীর বুকে। বাড়বে চুরি,খুন-রাহাজানি,ভেঙে পড়বে সমাজ-ব্যবস্থা। কালোবাজারির হাত ধরে ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ নামতে পারে সমাজের মাটিতে !
    Total Reply(0) Reply
  • Maram Ali ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ২:৩০ এএম says : 0
    পুরো দেশ আরো লকডাউন হলে খুব অসুবিধায় পড়তে হবে। আসাম বাদ দিয়ে উত্তর-পূর্বের ছয়টি রাজ্যে করোনা রোগী ৬ জন। তাই লক ডাউনের বিষয়ে নতুন ভাবে কিছু ভাবা যেতে পারে। জিলা হিসেবে দেখলে বিষয়টা ভালো হয়। তবে যে সব রাজ্যে রোগী বেশি সে সব রাজ্যে পুরো লকডাউন ভালো।
    Total Reply(0) Reply
  • Tuhin Dutta ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ২:৩১ এএম says : 0
    পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ঘোর বিপদের মুখে। এখানে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কম দেখানোর জন্য test পর্যাপ্ত করা হচ্ছে না যার ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে অদুর ভবিষ্যতে । ভারতবর্ষে করোনার এপিসেন্টার হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ ।।
    Total Reply(0) Reply
  • Sandip Maity ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ২:৩২ এএম says : 0
    করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য আমরা ঘরেতে বন্দী কিন্তু সরকার এটা কখনো দেখেছে যাদের বাড়িতে পেশেন্ট এবং অন্যান্য ওষুধ নিয়ে তারা চিকিৎসা করতে যাবে কোথায়
    Total Reply(0) Reply
  • শীল জিকু ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ২:৩৪ এএম says : 0
    বাংলাদেশ নিয়ে ভাবেন মিয়া বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে একটু খবর নেন কি অবস্থায় আছে লোকজন খাবারের অভাবে মানুষ মরবে ভাইরাসের কারণে ও মরবে কেউ সহ্য করতে পারবে না খিদা কেউ পারবে না ভাইরাস,
    Total Reply(0) Reply
  • Md Abul Basar ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ২:৩৪ এএম says : 0
    এই সমস্যা শুধু ভারতের নয় এটা আমাদের বাংলাদেশের ও সমস্যা হয়ে দাড়াবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ