গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
কুয়েত-বাংলাদেশে মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ছয়জন চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব)। সংগঠনটির সভাপতি প্রফেসর ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব প্রফেসর ডা. মো. আব্দুস সালাম অবিলম্বে শাস্তিমূলক আদেশটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। রোববার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, মনে রাখতে হবে চিকিৎসকেরও পরিবার আছে, একজন চিকিৎসকও একজন স্বামী বা স্ত্রী, কারো পিতা বা মাতা। তাদেরও রয়েছে পিতা মাতা, আত্মীয়-পরিজন। এই সবকিছু উপেক্ষা করেই এই দুঃসময়ে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। সুতরাং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এইসব বিবেচনায় নেওয়া সমীচীন ছিল।
ড্যাবের নেতারা বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাসের ছোবল থেকে বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষার জন্য সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে যারা নিরলসভাবে কাজ করছেন, তাদের ব্যাপারে পূর্বের মতই তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত নিলে যে তা ভুল হয় এবং এই দুঃসময়ের সৈনিকদের প্রতি অবিচার করা হয়। তাদের এই আত্মত্যাগের প্রতি একধরনের অসম্মান প্রদর্শন করা এবং পরোক্ষভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে তা আবারো প্রমাণিত হলো। চিকিৎসকদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের নিয়মানুগ সময় না দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা চাকরিবিধি অনুযায়ী কতটা যৌক্তিক এই প্রশ্ন চলে আসে। কেননা রবখাস্তকৃত চিকিৎসকদের তালিকাটি ভালোভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে ছয়জন চিকিৎসকের মধ্যে চারজনই বেশ অনেকদিন আগে থেকেই যোগদান পরবর্তী তারিখ খেকে অনুপস্থিত এবং দুজন করোনা রোগীর চিকিৎসার ব্যপারে অনীহা দেখিয়েছে। অথচ শেষোক্ত একজন মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়েছেন যে তিনি করোনা রোগীর চিকিৎসা পরবর্তী ১৪ দিনের বাধ্যগত আইসোলেশনে কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত হোটেলে অবস্থান করেছেন। বরখাস্তের সংবাদটি সেই চিকিৎসকের জন্য কতখানি বেদনাদায়ক এবং সামাজিকভাবে তারা এই সম্মানহানির জবাব কে দিবে? এছাড়া যারা যোগদানের পর থেকে অনুপস্থিত তাদের নানাবিধ কারণ থাকতে পারে, কিন্তু সময়মতো জবাবদিহি না করে এখন করোনা চিকিৎসার সাথে এটিকে জড়িয়ে সামাজিকভাবে চিকিৎসকদেরকে হেয় করা এবং দুঃসময়ে তাদেরকে জনগণের মুখোমুখি করে কর্তৃপক্ষ একধরণের দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে বলে। অথচ এই মুহুর্তে করোনা প্রতিরোধ ও করোনাক্রান্ত রোগীদের এবং অন্যান্য রোগীদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রকৃত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) প্রদান সহ তাদেরকে আস্থায় এনে কাজে উৎসাহ প্রদান করা সকলের কর্তব্য।
ড্যাবের নেতৃদ্বয় বলেন, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা মাঠপর্যায়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। এমতাবস্থায় ড্যাব অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নেওয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আদেশটি বাতিলের জোর দাবী জানিয়েছেন এবং এই মুহূর্তে বিভেদ না বাড়িয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে এই মহা সমস্যা উত্তরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।