যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান জিল্লু ও মিজানুর রহমান মিল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদে যুক্ত হলেন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির তিন নেতাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন
করোনাভাইরাস সংক্রামণ অব্যাহত থাকায় সউদী আরবে অবরুদ্ধ বিশ লক্ষাধিক প্রবাসী কর্মী চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। হাজার হাজার অসহায় ক্ষুধার্ত প্রবাসী কর্মী ত্রাণের জন্য রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসে ই-মেইলের মাধ্যমে আবেদন করে আহাজারি করে দিন কাটাচ্ছে। প্রতিদিন অসহায় প্রবাসী কর্মীরা জেদ্দাস্থ কনস্যুলেট ও রিয়াদ দূতাবাসে ত্রাণের জন্য ফোন করেও কোনো সাড়া পাচ্ছে না।
অথচ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় গত ৫ এপ্রিল সউদীর অসহায় ক্ষুধার্ত প্রবাসী কর্মীদের মাঝে জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য রিয়াদ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসে ৪০ লাখ টাকা করে ৮০ লাখ টাকা পাঠিয়েছে। যদিও সউদী প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ত্রাণের জন্য উল্লেখিত অর্থ খুবই কম। ত্রাণের জন্য বরাদ্দকৃত এসব অর্থ সউদী ব্যাংক থেকে ছাড় পেতে বিলম্ব হলে জেদ্দাস্থ কনস্যুলেটের পাসপোর্ট শাখায় নগদ জমাকৃত লাখ লাখ রিয়াল দিয়েও তাৎক্ষণিভাবে শপিংমল থেকে ত্রাণ কিনে জরুরিভিতিত্তে বিতরণের পরামর্শ দেয়া হলেও সিজি তা’আমলে নেননি। পরে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতির জন্য ই-মেইল বার্তা পাঠানো হয়েছে জানা গেছে।
জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস ও রিয়াদ দূতাবাস প্রবাসীদের জমাকৃত ত্রাণ পাওয়ার আবেদন যাচাই বাছাইয়ের নামে অহেতুক কালক্ষেপন করছে। এতে অসহায় গৃহবন্দি প্রবাসী কর্মীদের দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সউদী থেকে একাধিক সূত্র জানায়, প্রবাসীদের মহাসঙ্কটকালে সউদীর পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসকারী লাখ লাখ বাংলাদেশির অভিভাবক জেদ্দাস্থ কনস্যুলেটের সিজি ফয়সাল আহমদকে দফায় দফায় ফোন করেও পাওয়া যাচ্ছে না। প্রবাসীদের ফোন পেলেই উনি অধিকাংশ সময়ে বিরক্ত বোধ করেন। অসহায় বিপদগ্রস্ত কর্মীদের খোঁজ খবর নেয়ার সময় না পেলে সিজি ফয়সাল আহমদ লন্ডনস্থ তার পরিবারে সাথে ফোনেই বেশি ব্যস্ত থাকনে বলে অভিযোগ উঠেছে। সিজির নির্দেশে ত্রাণ প্রাপ্তির আবেদনে প্রবাসী কর্মীর পাসপোর্ট, ইকামার ফটোকপিসহ নানা বিষয় চাওয়া হয়েছে। দেশটিতে কারফিউ চলাকালে অভিবাসী কর্মীরা যার যার বাসা থেকে এক চুলও নড়া সম্ভব না। সেক্ষেত্রে ইকামার ফটোকপিসহ অন্যান্য তথ্যাদি যোগাতে গৃহবন্দি কর্মীদের হিমসিম খেতে হচ্ছে।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশটিতে গত ১৫ মার্চ থেকে শপিংমল, সরকারি-আধা সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আাদালত বন্ধ রয়েছে। সউদী আরবের বেশিরভাগ শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ২৪ ঘন্টা কারফিউ বলবৎ থাকায় দেশজুড়ে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
ত্রাণ বিতরণে কেন অহেতুক বিলম্ব হচ্ছে এবং বরাদ্দকৃত ৪০ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে ছাড় করতে সমস্যা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জেদ্দাস্থ কনস্যুলেট জেনারেল অফিসের শ্রম সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, বরাদ্দকৃত অর্থ হাতে পেতে সমস্যা হবে না। ত্রাণ বিতরণের জন্য সউদী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দু’টি গাড়ি যাতায়াতের অনুমতি নেয়া হয়েছে। প্রত্যেক প্রবাসী কর্মীকে ৫৯ রিয়ালের মূল্যের ত্রাণ সামগ্রি দেয়া হবে। গতকাল রোববার পর্যন্ত সউদীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১০ জন প্রবাসী কর্মী মারা গেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ত্রাণ বিতরণে যাচাই বাছাইয়ের নামে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে জেদ্দাস্থ কনস্যুলেটের সিজি ফয়সাল আহমদ আজ ইনকিলাবকে বলেন, ত্রাণের জন্য যেসব আবেদন পাওয়া গেছে তা’ এখন আর যাচাই বাছাই করবো না। কারফিউর মাঝে ত্রাণ বিতরণের সউদী সরকারের অনুমতি নেয়া হচ্ছে। বরাদ্দকৃত অর্থ সর্ম্পকে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি জানি না শ্রম সচিব আমিনুল ইসলাম জানেন। আগামী মঙ্গলবার নাগাদ জেদ্দায় প্রবাসীদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এদিকে, আজ রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহর সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। জেদ্দাস্থ আল হোমরা হারেস বাহেরিয়া সেনা ক্যাম্পের পার্শ্বে অবরুদ্ধ লক্ষ্মীপুরের রিয়াজ খান, মোহন, আজাদ, জামাল, ফারুক, মোরশেদ আলম, সজিব, সোহেল , রুবেলসহ এবং মক্কার অদূরে বি-বাড়িয়ার রুহুল আমিন, চাঁদপুরের শাহিন, কিশোরগঞ্জের আব্দুর রহমানসহ ৫০জন প্রবাসী কর্মী ১২/১৪ দিন আগে ত্রাণের জন্য জেদ্দা কনস্যুলেটে আবেদন করেও ত্রাণ পায়নি।
প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।