নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
যাকে থামাতে বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের রাতের ঘুম ছুটে যেত একটা সময়, সেই রোনালদো লুই নাজ়ারিয়ো দা লিমা এখন আটকে গিয়েছেন নিজের বাড়িতেই। গৃহবন্দি হয়ে আছেন এমন একটা দেশে, যা করোনাভাইরাসের আক্রমণে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত।
ব্রাজিলীয় মহাতারকা এই মুহূর্তে নিজের দেশে নেই। আছেন করোনাভাইরাসে বিধ্বস্ত স্পেনে। রাজধানী মাদ্রিদে নিজের বাড়িতে। সেখান থেকেই লা লিগা কর্তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালাচ্ছেন করোনা মহামারির বিরুদ্ধে।
এক বিবৃতিতে ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোনালদো লিখেছেন, ‘সবার মতো আমিও এক ভীষণ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই রকম ভয়ঙ্কর এক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জিততে গেলে আমাদের সবাইকে আত্মত্যাগ করতে হবে।’
কিন্তু রোনালদো কেন মাদ্রিদে? বছর দুই আগে স্পেনের ক্লাব রিয়াল ভায়াদোলিদের ৫১ শতাংশ শেয়ার কেনার পর থেকে লা লিগার এই ক্লাবের মালিক হয়েছেন ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। তিনি মাদ্রিদে অফিসও খুলেছেন। স্পেনের রাজধানীতে বাড়ি আছে তার। বছরের বেশির ভাগ সময় সেখান থেকেই স্প্যানিশ ক্লাব পরিচালনার দায়িত্ব সামলান রোনালদো। তিনিই এখন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট। লকডাউন শুরু হওয়ার পরে তাই মাদ্রিদেই গৃহবন্দি।
নিজের বিবৃতিতে এ কিংবদন্তী আরও বলেছেন, ‘রিয়াল ভায়াদোলিদে আমরা চেষ্টা করছি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার। কাজটা খুবই কঠিন। কারণ অতীতে কখনও আমাদের এই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি। আমরা বাড়ি থেকে কাজ করছি। ভিডিও কনফারেন্স করছি। লা লিগা, স্প্যানিশ ফুটবল সংস্থা, স্পেনের প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন-সবার সঙ্গে আলোচনা চলছে। ঘর থেকেই যা করার করতে হবে, সব কিছু বন্ধ করে দিলে তো চলবে না। আমরা যতটা সম্ভব সব কিছু স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি।’
ফুটবল বন্ধ, ফুটবলারদের অনুশীলন বন্ধ। তাই রোনালদোর ক্লাব এখন ব্যস্ত করোনা মোকাবিলায়। কী করছে রিয়াল ভায়াদোলিদ? জানানো হয়েছে, এখন কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিশেষ ‘মাস্ক’ তৈরি করছে ভায়াদোলিদ ক্লাব। ভায়াদোলিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এখন হাজার-হাজার মাস্ক তৈরি করছে তারা। যা বিলি করা হবে স্পেনের স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে।
রোনালদো জানিয়েছেন, তাদের ফুটবলারদের অনুশীলন শুরু করার কথা ছিল এপ্রিলের শুরুতে। যা এই পরিস্থিতিতে কবে হবে বলা সম্ভব নয়। বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলারের কথায়, ‘দুর্ভাগ্যবশত, এই পরিস্থিতিতে আমাদের ক্লাবের পরিকল্পনা ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু আমরা সিটি কাউন্সিলের সঙ্গে নিয়মিত কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছি।’ মাদ্রিদ প্রশাসনের সর্বোচ্চ অঙ্গ হল সিটি কাউন্সিল। যারা শহরের দেখভাল করে।
প্রতিপক্ষ রক্ষণকে ভেঙে তিনি বহুবার ম্যাচ জিতিয়েছেন। কখনও বা ব্রাজিলকে, কখনও বা রিয়াল মাদ্রিদকে। ভয়ঙ্কর এই প্রতিপক্ষের ডিফেন্স কী ভাবে ভাঙা যায়, যার নাম কোভিড-১৯? রোনালদোর পরামর্শ, ‘আমাদের সবাইকে প্রচুর ধৈর্য এবং দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সরকারের নির্দেশ মেনে চলতে হবে সবাইকে। আমিও তাই করছি। দায়িত্ববান মানুষেরাও তাই করছেন। আশা করব, খুব তাড়াতাড়ি এই প্রতিপক্ষকে হারাতে পারব।’ স্পেনের মানুষের উদ্দেশে বলেছেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ। বাড়িতে থাকুন। খুব তাড়াতাড়ি দেখা হচ্ছে!’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।