মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনভাইরাস মহামারী রোধে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ভারত লকডাউনের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এর আগে বাংলাদেশও লকডাউনের মেয়াদ বাড়ায় ১১ দিন। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা কিছুটা বেশি থাকলেও আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কায় যথাক্রমে ১৮ ও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকলেও কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
গতকাল ইউরোপের অনেক দেশে মৃতের সংখ্যা হ্রাস আশা জাগাচ্ছে। বিশেষ করে স্পেনসহ বেশি কিছু দেশ লকডাউন তুলে দিতে যাবার মুখে একে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকেই। তবে গতকাল মৃতের তালিকায় যোগ হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রে ১,৩১৭ যুক্তরাজ্যে ৯১৭, ফ্রান্সে ৬৩৬, ইতালিতে ৬১৯ বেলজিয়ামে ৩২৭, স্পেনে ২৭২, হল্যান্ডে ১৩২, ইরানে ১২৫, ভারত ও মেক্সিকো ৩৯, পর্তুগাল ৩৫, ফিলিপাইনে ২৬, ইন্দোনেশিয়ায় ২১, অস্ট্রিয়ায় ১৮, সুইডেনে ১৭ এবং পাকিস্তানে ১১ জন।
এদিকে বিশ্বব্যাপী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বেড়েই চলেছে। গতকাল রাত ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী শনাক্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে আর মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৬৪৪ জন এবং সুস্থ হয়ে পরিবারে ফিরে গেছেন ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৭ জন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল রাজ্যগুলির সাথে আলোচনা করে লকডাউনের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য আগেই এ সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিল। সেই পথে হাঁটল কেন্দ্র সরকারও।
বাংলাদেশে শুক্রবার গভীর রাতে সরকার দেশব্যাপী কডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল করেছে। এখানে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮২ এবং ইতোমধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৩০ জনের। সামাজিক দূরত্ব কার্যকর করতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ভারতের ২১ দিনের লকডাউন মঙ্গলবার শেষ হবার কথা থাকলেও গতকাল তা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। দেশটিতে লকডাউন লাখ লাখ দরিদ্র মানুষকে কর্মহীন করে দিয়েছে এবং তারা শহর থেকে গ্রামে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে যাবার অনুমতি দাবিতে বিক্ষোভ ও পাথর নিক্ষেপরত ৮১ শ্রমিককে তারা পশ্চিম সুরাট থেকে গ্রেফতার করেছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘লকডাউনের কারণে শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে এবং নিজেদের টিকিয়ে রাখতে লড়াই করছে’। ভারতীয় কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন যে, লাখ লাখ মানুষের বাস বস্তিতে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যে চাপে পড়ে গেছে। এমন দেশে বিরাট ভাইরাস সংক্রমণ বিপর্যয়কর হতে পারে।
গতকাল পর্যন্ত ভারতে শনাক্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৩৩৯ এবং ইতোমধ্যে ২৮৮ জন মারা গেছে। মুম্বাই ও দিল্লির মতো শহরগুলোকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে
দক্ষিণ এশিয়ায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে সরকারি পরিসংখ্যান নিম্নরূপ:
ভারতে মৃত ২৪৯, শনাক্ত ৪,৮৭৬ জন। পাকিস্তানে শনাক্ত ৫,০১১ এবং মৃত ৭৭ জন। বাংলাদেশে শনাক্ত ৪৮২, মৃত ৩০, আফগানিস্তানে শনাক্ত ৫৫৫, মারা গেছে ১৮ জন। শ্রীলঙ্কায় ১৯৮ জন শনাক্ত এবং মৃত ৭ জন। মালদ্বীপে ১৯, নেপালে ৯ এবং ভুটানে ৫ জন শনাক্ত হলেও কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। সূত্র : রয়টার্স, ওয়ার্ল্ডমিটার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।