পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
নিহতের সংখ্যা ৩৮ জনে বৃদ্ধি : গুলি লেগে অন্ধ হওয়ার পথে শতাধিক কাশ্মীরি
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতে উত্তপ্ত কাশ্মীরে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। পৃথক সংঘর্ষে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮-এ। প্রধান মসজিদটি বন্ধ করে দেয়ার পর এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জনগণকে বলা হয়েছিল বাড়ির বাইরে না বেরুতে, কিন্তু নিকটবর্তী মসজিদগুলোতে জুমার নামাজের পরই আবার সংঘর্ষের সূত্রপাত। ভারতীয় সেনাবাহিনী স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দাঙ্গা দমানোর সরঞ্জামাদি নিয়ে শুক্রবার কাশ্মীরের শহর ও গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তারা কারফিউর ঘোষণা দিয়ে বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে বেরুতে নিষেধ করে। কিন্তু কাশ্মীরি জনগণ পার্শ্ববর্তী মসজিদগুলোতে নামাজ আদায়ের পর বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে এবং এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ তাদের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপরত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। বিক্ষোভকারীরা এ সময় কাশ্মীরের স্বাধীনতার পক্ষে এবং ভারত-বিরোধী স্লোগান দেয়। উত্তরাঞ্চলীয় কুপওয়ারায় পুলিশ ক্যাম্পে কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী ইট-পাটকেল নিয়ে হামলা চালালে পুলিশ তাদের থামাতে গুলি ছোড়ে। এতে ১২/১৩ বছর বয়সী একটি বালক নিহত ও দু’জন আহত হয়।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণাঞ্চলীয় ইয়ারিপুর গ্রামে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ গুলি চালালে এক যুবক নিহত ও দু’জন আহত হয়। শুক্রবার পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী সহিংসতায় অন্তত ৩৬ জন নিহত এবং দেড় হাজার মানুষ আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একশো জনই ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত হয়। আহতদের বেশিরভাগই চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। বিদ্রোহী নেতা বুরহান ওয়ানি গত সপ্তাহে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে এক বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর কাশ্মীরে আবারও নতুন করে অসহিষ্ণুতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। শুক্রবারের সংঘর্ষে একশো লোক দাঙ্গা পুলিশের রাবার বুলেটের আঘাতে অন্ধ হতে বসেছে। প্রধান শহর শ্রীনগরের হাসপাতালগুলোতে আহতদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে কয়েকশো চোখে আহত হয়েছেন। শহরের জেনারেল হাসপাতালে শনিবার থেকে একশো’রও বেশি লোকের চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। এসব লোকজন শর্টগানের গুলিতে আহত হন। নতুন দিল্লীভিত্তিক অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স-এর চক্ষু বিশেষজ্ঞ সুদর্শন খোখার জানান, গত তিন দশকের মধ্যে তিনি একসঙ্গে এতো চোখের রোগী দেখেননি। এপি, এএফপি ও পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।