মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দুই সন্তানের জননী রাজিয়া বেগম এর আগে স্কুটি চালিয়ে কখনোই শহরের বাইরে যাননি। করোনা সংক্রমণ থেকে ছেলেকে উদ্ধার করতে তিনি স্কুটিতে এক হাজার ৪০০ কিলোমিটার পাড়ি দিলেন। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে দিন-রাত দুই চাকার স্কুটি ছোটালেন সাহসিনী। অসম্ভব মনের জোর কাজে লাগিয়ে গুগল ম্যাপেএর সাহায্যে পৌঁছে যান ছেলের কাছে।
দুই সপ্তাহ আগে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের নেলোর জেলায় রেহমতাবাদ শহরে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যান দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র তেলাঙ্গনার বোধান শহরের বাসিন্দা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। গত ২৩ মার্চ বাড়ি ফেরার ট্রেনের টিকিট কাটা থাকলেও ভারতজুড়ে লকডাউন জারি হওয়ায় তিনি বন্ধুর বাড়িতেই আটকা পড়েন।
এদিকে নেলোরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার তীব্রতর হলে উদ্বেগে অস্থির হন নিজাম উদ্দিনের মা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রাজিয়া বেগম (৪৮)। ফোনে ছেলের সঙ্গে কথোপকথনে জানতে পারেন, চেষ্টা করেও তেলঙ্গানা ফিরতে পারছেন না নিজাম উদ্দিন।
সাহায্য চেয়ে বোধানের সহকারি পুলিশ কমিশনার ভি জয়পাল রেড্ডির দ্বারস্থ হন রাজিয়া। পুলিশ কর্মকর্তা তাকে অনেক বুঝিয়ে নিরস্ত করার চেষ্টা করলেও পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজের স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন প্রধান শিক্ষিকা। ঠিক করেন এক হাজার ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে বাড়ি ফিরিয়ে আনবেন। সঙ্গে নেন পুলিশ সহকারি প্রধানের অনুমতিপত্র।
গত ৬ এপ্রিল ভোরে রওনা দেন রাজিয়া। পথে বিভিন্ন জায়গায় তাকে পুলিশের ব্যারিকেডে থামতে হলেও অনুমতিপত্র দেখিয়ে ছাড়া পান রাজিয়া। পুলিশ সদস্যরা তার মনোবল ও সাহস দেখে অবাক হন। তিনি পথে পেট্রল নেয়াসহ কয়েকবার অল্প সময়ের জন্য বিশ্রাম নেন।
৭ এপ্রিলই দুপুরে ফের ছেলেকে নিয়ে নেলোর ছাড়েন রাজিয়া। ৮ এপ্রিল সকালে পৌঁছে যান নিজের বাড়ি। দীর্ঘ পথ স্কুটি চালিয়ে প্রচন্ড ক্লান্ত মা জানান, ছেলেকে উদ্ধার করার তীব্র বাসনাই তাকে এই অসম সাহসিকতায় উদ্বুদ্ধ করেছে।
রাজিয়া বেগম হায়দ্রাবাদ থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে নিজামাবাদ সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। তিনি ১৫ বছর আগে স্বামীকে হারান। এরপর থেকে দুই ছেলেকে আগলে রাখেন। তার দুই সন্তানের একজন প্রকৌশলী গ্রাজুয়েট। অন্যজন ১৯ বছর বয়সী নাজিম উদ্দিন। যার কিনা চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন।
মায়ের অসামান্য মনোবল ও সাহসিকতায় মুগ্ধ ছেলে নিজাম উদ্দিন। অল্প বয়সে বাবাকে হারালেও মা-ই যে তাকে আগলে রেখে সে অভাব বুঝতে দেননি, তা স্বীকার করেছেন তিনি। রাজিয়া বেগমের কীর্তিকে স্যালুট জানিয়েছেন বোধান শহরের সহকারি পুলিশ কমিশনার ভি জয়পাল রেড্ডিও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।