Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চার মাসের মধ্যে আসবে অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক

করোনা চিকিৎসায় শতভাগ সফল ইসরাইল!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫০ পিএম

সম্প্রতি বিশেষ চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন ইসরাইলের ৬ জন গুরুতর অসুস্থ কোভিড-১৯ রোগী যারা উচ্চ-মৃত্যু ঝুঁকিতে ছিলেন। হাইফাভিত্তিক সংস্থার দেয়া প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, তাদেরকে প্লুরিস্টেমের প্লাসেন্টা-ভিত্তিক সেল-থেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এদিকে যুক্তরাজ্যে করোনার প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করা শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, শরৎকালের প্রথম দিকেই করোনভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যেতে পারে।
জানা গেছে, ইসরাইলের সহায়তামূলক প্রোগ্রামের অধীনে এক সপ্তাহের জন্য তিনটি পৃথক ইসরাইলি মেডিকেল সেন্টারে রোগীদের চিকিৎসা করা হয়েছিল। তারা কোভিড-১৯ এর কারণে তীব্র শ্বাসযন্ত্রের এবং প্রদাহজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। এদের মধ্যে চারজন রোগীর কার্ডিওভাসকুলার এবং কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গপ্রতঙ্গ বা সিস্টেমেও সমস্যা ছিল। প্লুরিস্টেম পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে সকল রোগী কেবল বেঁচেই ওঠেননি, তাদের মধ্যে চারজনের শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যার (প্যারামিটারে) উন্নতি ঘটেছে। শুধু তাই নয়, তাদের মধ্যে তিনজনের আগে থেকেই বিদ্যমান শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছে। তারা এখন অনেকটাই উন্নত পর্যায়ে আছেন।
প্লুরিস্টেমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াকি ইয়ানায় বলেছেন, আমরা প্রোগ্রামের এই প্রাথমিক ফলাফলে সন্তুষ্ট রোগীদের। ইয়াকি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সুবিধার্থে পিএলএক্স কোষকে ব্যবহার করার বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, প্লুরিস্টেম বিপুল সংখ্যক রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। এদিকে, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আত্মবিশ্বাসী যে খুব বেশি হলে আগামী আট মাসের মধ্যেই তারা এই রোগের জন্য একটি টিকা তৈরি করতে পারবেন। এর আগে যা ভাবা হয়েছিল তার থেকেও দ্রুত এটি প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে। এর আগে ব্রিটেনের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন যে, একটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত হতে কমপক্ষে ২০২১ সাল হয়ে যাবে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে কয়েকশ’ প্রতিষ্ঠান কোভিড-১৯ প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করছে। তার মধ্যে অন্যতম অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, কোনও টিকা প্রস্তুত হওয়ার আগে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি বেড়ে গেলে তা ‘চ্যালেঞ্জিং’ হবে। তারা বলেছেন, কে ইতিমধ্যে সংক্রামিত হয়েছে তা সনাক্ত করার জন্য কোনও উপায় না থাকায় পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য উপযুক্ত লোক পাওয়া কঠিন হতে পারে। ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ৫শ’রও বেশি স্বেচ্ছাসেবী এই পরীক্ষার জন্য সাইন আপ করেছেন এবং মাসের শেষের দিকে পরীক্ষা শুরু হবে।
গবেষকরা দ্য টেলিগ্রাফকে জানিয়েছেন, ‘সর্বোত্তম-দৃষ্টিকোণটি হ’ল ২০২০ সালের শরৎকালে আমরা তৃতীয় পর্যায়ের একটি পরীক্ষা থেকে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এবং বৃহৎ পরিমাণে ভ্যাকসিন তৈরির দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারব।’ তবে তারা স্বীকার করেছেন যে, এই সময় ফ্রেমটি ধরে রাখা কঠিন হতে পারে, কারণ সামনে আরও অনেক বাধা আসতে পারে। সূত্র : দ্য জেরুজালেম পোস্ট, ডেইলি মেইল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ