মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথম হিমালয় দেখা যাচ্ছে। গত ২৪ মার্চ থেকে ২১ দিনের লকডাউনে পড়ে দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলে দূষণের মাত্রা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। ফলে হিমালয় থেকে প্রায় ১২৫ মাইল দূরে পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলা থেকে স্থানীয়রা তুষার-আবৃত পাহাড়ের চিত্তাকর্ষক ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন। অপার্থিব এই সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ আশেপাশের অঞ্চলের বাসিন্দারা। দূর থেকে বরফের আচ্ছন্ন হিমালয় পাহাড়ের অপার এই সৌন্দর্যকে প্রশংসা না করে পারা যায় না।
কোভিড-১৯ মহামারিজনিত কারণে স্তদ্ধ পুরো বিশ্ব। কমেছে বায়ু দূষণ। ফলে আশেপাশের অঞ্চলে যারা বাস করছেন তারা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে বিশ্বের সর্বোচ্চ এই পর্বতের সৌন্দর্য দেখতে পারছেন। করোনাভাইরাস যেন প্রকৃতির জন্য আশির্বাদ হয়ে এসেছে। লকডাউনে মানুষ ঘরবন্দি হওয়ায় কমে গেছে পরিবেশ দূষণ। নদী-সমুদ্রের পানি হয়েছে নির্মল-নীল, গাছ-গাছালি যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বাতাস হয়ে উঠেছে নির্মল-প্রাণজুড়ানো। পরিবেশের দূষণ কমে যাওয়ার ফলে আশ্চর্যজনকভাবে তিন দশক পরে ভারতে বসেই দেশটির অধিবাসীরা খালি চোখে দেখতে পাচ্ছেন হিমালয়ের চ‚ড়া।
হিমালয়ের সেই ছবি ক্যামেরায় ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও পোস্ট করছেন জলন্ধরের মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ৩০ বছর পর এভাবে তারা সরাসরি হিমালয় দেখতে পেলেন।
মানুষের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণে পর্যায়ক্রমে পরিবেশ দূষণও বেড়ে গেছে। বাতাসে দূষণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় দূর থেকে আর হিমালয় পর্বত দেখা যায়নি। কিন্তু করোনার প্রভাবে পরিবেশ দূষণ কমে যাওয়ায়, বাতাসে ভারি পদার্থের ঘনত্বও কমে গেছে। যার ফলে খালি চোখেও অনেক দূর দেখা সম্ভব হচ্ছে।
ভারত এমনিতেই বায়ু দূষণপ্রবন একটি দেশ। এখানকার ১৪০ কোটি মানুষ মারাত্মক দূষণের শিকার। ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্টের সূচকে গত বছরও সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবে ভারতের নাম ছিল উপরের দিকে। দিল্লিসহ উত্তর ভারতে বায়ু দূষণের কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছিল গত কয়েক বছর ধরে। করোনার কারণে ২১ দিনের লকডাউন চলছে পুরো ভারতজুড়ে। এই সুযোগই দূষণ সরে যাওয়ায় সেই পরিবেশ বিপর্যয় থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা মিলেছে ভারতবাসীর।
সাবেক ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার হরভজন সিংয়ের বাড়ি জলন্ধরে। কয়েকদিন আগেই তিনি স্থানীয় ৫ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য-সামগ্রী বিতরণ করেছিলেন। হরভজন নিজের বাড়ির ছাদ থেকে হিমালয়ের ছবি তুলে টুইটারে পোস্ট করেন। তিনি লিখেন, ‘কখনোই এভাবে আমার বাড়ির ছাদ থেকে খালি চোখে ধাওলাদার রেঞ্জ দেখিনি। এটা ছিল যেন আমার জন্য একটি অকল্পনীয় বিষয়। এতেই বোঝা যাচ্ছে, আমাদের এই পৃথিবীকে আমরা কতটা দূষিত করে তুলেছি। আর দূষণ কমে যাওয়ায় এখন কী হয়েছে। এটাই হচ্ছে সেই চিত্র।
টিজে সিং নামে একজন লিখেছেন, ‘জলন্ধর থেকেই এখন হিমালয় পর্বত দেখা যাচ্ছে। পাঞ্জাবে পরিবেশের দূষণ কমে যাওয়ার ফলেই এটা সম্ভব হচ্ছে। খুবই সুন্দর একটি দৃশ্য’।
পাঞ্জাবের সান্ত বালবির সিং সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বাড়ির ছাদ থেকে কিংবা উঠান থেকেও আমরা বরফে ঢাকা হিমালয় পাহাড়ের চ‚ড়া দেখতে পাচ্ছি। শুধু তাই নয়, রাতের বেলা তারাও দেখা যাচ্ছে খালি চোখে। সা¤প্রতিক সময়ে কিংবা দীর্ঘদিন আমি এ ধরনের কিছু দেখিনি’।
করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বই আজ স্তব্ধ, ঘরে বন্দি মানুষ। তবুও প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। আক্রান্ত বাড়ছে প্রতি মিনিটে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে মারণ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ মানুষ। মৃত্যুবরণ করেছে ৮৮ হাজারের বেশি মানুষ। এ কারণেই দেশে দেশে এখন চলছে লকডাউন-কোয়ারেন্টিন। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রেই করোনা যেন আশির্বাদ হিসেবে উপস্থিত হয়েছে এই বিশ্ব প্রকৃতির জন্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।