মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউরোপ-আমেরিকায় যখন করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল তখন স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে চীনের হুবেইয়ে। প্রদেশটির উহান শহর কোভিড-১৯-এর উৎপত্তিস্থল হলেও এতো দ্রুত সঙ্কট কেটে যাওয়ায় বিস্ময় স্থানীয়দের মধ্যেই। এদিকে চীনের কারখানাগুলোতে ভেন্টিলেটর, মাস্ক-পিপিইর উৎপাদন পুরো দমে চলছে। যা রফতানি হচ্ছে ইউরোপের বাজারে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে এখন প্রতিদিনই নতুন আশার আলো নিয়ে ওঠে সূর্য। কেটে গেছে অন্ধকার। এখানকার বাসিন্দারাও তাই মুক্ত বাতাসে রোজকার কাজকর্ম করছেন। শহরের বাসিন্দারা বলেন, করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থলে আর কোনো করোনা নেই। ভাবতেই ভালো লাগছে। এই ভাইরাস আমাদের সচেতন করে দিয়েছে। মুখে মাস্ক পরেছি সাধারণ সচেতনতার জন্য। তারা আরও বলেন, দুই মাসের বেশি সময় ঘরে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। এখন মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারছি। খুব ভালো লাগছে। অপর এক খবরে বলা হয়, চীনের সীমান্তবর্তী শহর সুইফেনহেতে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কর্তৃপক্ষ শহরটিকে ‘সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ’ ঘোষণা করেছে। কোভিড-১৯ এর প্রকোপ কমে আসায় দেশটির অন্যান্য অঞ্চল থেকে একে একে লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধ উঠলেও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাশিয়ার সীমান্তলাগোয়া সুইফেনহেতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল। সুইফেনহে শহরটি বেইজিং থেকে এক হাজার মাইল দূরে অবস্থিত। কর্তৃপক্ষ শহরটির প্রায় সব বাসিন্দাকেই ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যাতায়াতের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হলেও পণ্যসামগ্রীর চলাচল অব্যাহত থাকবে। আক্রান্তদের চিকিৎসায় ৬০০ শয্যার একটি হাসপাতাল বানানোর কাজ চলছে বলেও শহরটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। চীন বুধবার বিদেশফেরত যে ৫৯ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল, তার মধ্যে ২৫ জনই সুইফেনহে হয়ে দেশে ঢুকেছেন, বলেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। আক্রান্ত এ চীনা নাগরিকরা সবাই মস্কো থেকে ভ্লাদিওভস্তক এসেছিলেন, রাশিয়ার এ শহরটি সুইফেনহে থেকে মাত্র ১৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে। নতুন আক্রান্ত সব রোগীকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে; এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। একই পথ দিয়ে সুইফেনহেতে আসা আরও ৮৬ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও উপসর্গ না থাকায় তাদের আলাদা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুইফেনহের স্থানীয় সরকার জানায়, মঙ্গলবার থেকেই তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে; যদিও মালবাহী যানগুলো এ নির্দেশের আওতামুক্ত। সিনহুয়া,বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।