মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ওয়ার্ল্ডওমিটার ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য (শুক্রবার সোয়া ১১টা পর্যন্ত) বলছে, বিশ্বের ২০৯টি দেশ ও অঞ্চলকে আক্রান্ত করেছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে ১৬ লাখ ৪ হাজার ৭৩৬ জন। মারা গেছে ৯৫ হাজার ৭৩৬ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭২ জন।
তবে জার্মানের একদল বিজ্ঞানী বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, করোনায় বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এর থেকে বহুগুণ বেশি। তাদের ধারণা, বিশ্বের কমপক্ষে ২ থেকে ৪ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়।
জার্মানির গটিনজেন ইউনিভার্সিটির দুই গবেষকের দাবি, আমরা এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সে সংখ্যা পেয়েছি তা মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের মাত্র ৬ শতাংশ। অর্থাৎ, বাকি ৯৪ শতাংশ করোনা রোগীর হিসাব আমাদের জানার বাইরে।
ওয়ার্ল্ডওমিটার ওয়েবসাইট বলছে, যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ৭৭ জন। তবে জার্মানির এই দুই গবেষকের দাবি, এটা দেশটির মোট আক্রান্তের মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ, দেশটির ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ কোভিড-১৯ এ হিসাবের বাইরে রয়েছেন। এই দুই গবেষকের ভাষ্য, ‘প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ মিলিয়নের মতো (৫০ লাখ)।’
গবেষকরা আরও বলেছেন, ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইতালি, স্পেন ও যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের যে সংখ্যা দেখানো হয়েছে, তা হলো প্রকৃত সংখ্যার যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫, ১ দশমিক ৭ এবং ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
অথচ, ইতালিতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৬, স্পেনে ১ লাখ ৫৩ হাজার ২২২ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়।
জার্মানির এই দুই গবেষকের দাবি অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে মহামারি কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ মিলিয়ন বা ২ কোটি ৬০ লাখ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট-এ প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন জার্মানির বিজ্ঞানী অধ্যাপক সেবাস্তিয়ান ভলমার ও ড. ক্রিশ্চিয়ান বোমার।
এই দুই বিজ্ঞানীর তথ্যমতে, জার্মানিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের যে সংখ্যা (১ লাখ ১৮ হাজার ২৩৫) পাওয়া গেছে, আসলে তা প্রকৃত সংখ্যার মাত্র ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
সেবাস্তিয়ান ভলমার ও ড. ক্রিশ্চিয়ান বোমা বলছেন, করোনা আক্রান্ত অনেক রোগীর ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গই প্রকাশ পায় না। আবার পেলেও তা খুবই সামান্য। আর এ কারণেই করোনা রোগীর প্রকৃত তথ্য পাচ্ছে না দেশগুলোর স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। আর দেশগুলো থেকে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা তথ্যপূর্ণ নয়।
এই অবস্থায় দেশগুলোর স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে করোনা রোগী যাচাইয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানী অধ্যাপক ভলমার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।