বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে বিয়ে করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলা ও গুলিতে মাহফুজুর রহমান নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় আব্দুল ওহাব ও সুমন নামের দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হলো, মামলার তিন নং আসামী ও স¤্রাট বাহিনীর প্রধান স¤্রাটের ভাই চৌমুহনী পৌর হাজীপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ওহাব (৪৫), একই এলাকার সুমন (৩৩)।
পুলিশ জানায়, মাহফুজুর রহমান প্রকাশ মাহফুজ হত্যার ঘটনায় তার ছোট ভাই বেলাল হোসেন হৃদয় বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। স¤্রাট বাহিনীর লোকজনের সাথে নিহত মাহফুজের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব ও পূর্ব শত্রুতা থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুন অর রশিদ চৌধুরী বলেন, মামলা দায়েরের পর পৃথক অভিযান চালিয়ে চৌমুহনী বাজার এলাকা থেকে মামলার দুই আসামী ওহাব ও সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শাহাজাহান শেখ বলেন, নিহত মাহফুজুর রহমান ছিলেন সন্ত্রাসী সুমন বাহিনীর প্রধান সুমন প্রকাশ খালাসি সুমনের সহযোগী। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। খালাসী সুমন গত ৪-৫ মাস আগে একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে নোয়াখালী জেলা কারাগারে রয়েছে। অপরদিকে তার প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান স¤্রাট পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, হাজীপুর গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে মাহফুজ মঙ্গলবার বিকেলে কুতুবপুরে বিয়ে করতে যায়। বিয়ের কাজ স¤পন্ন হওয়ার পরপর ১০-১২ জন মুখোশধারী হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা মাহফুজকে গুলি ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। পরে মাহফুজকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নেওয়ার পথে মারা যায় সে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।