গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সমস্যা থেকে বাংলাদেশের মানুষ যাতে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সে জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে জেডআরএফের কৃষিবিদ গ্রুপ ঢাকা মহানগরীর কয়েকটি বস্তি করোনার সংক্রমণ রোধে ও ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে জীবাণুনাশক ঔষধ স্প্রে করার কাজ হাতে নিয়েছে। বুধবার মহাখালীস্থ ৭ তলা বস্তিতে জীবাণুনাশক ঔষুধ স্প্রে করার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এই কার্যক্রম পরিচালনার সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন কৃষিবিদ প্রফেসর ড. আবদুল করিম ও কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার। গতকাল মহাখালী ৭ তলা বস্তিতে জীবাণুনাশক স্প্রে করার সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ সানোয়ার আলম, ২০ নং ওর্য়াড বিএনপির সেক্রেটারি মো. হারুন অর রশিদ, বিএনপি নেতা জসীম উদ্দিন প্রমুখ। এসময় স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ তাদেরকে সহযোগিতা করেন।
আব্দুল করিম বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং ডেঙ্গুর সম্ভাব্য ভয়াবহ প্রকোপ থেকে বস্তিবাসীকে সচেতন ও রক্ষার্থে জীবাণুনাশক ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে রাজধানীর অন্যান্য মোট ১০টি বস্তিতেও জীবানুনাশক ঔষুধ স্প্রে করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার জানান, করোনার কারণে অসহায় গরিব মানুষকে সাহায্য করার জন্য জেডআরএফ ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। জেডআরএফের ২৭টি টিম বিভিন্ন নির্দিষ্ট বিষয়ে সেবাপ্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছে। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের ক্রান্তিলগ্নে যেভাবে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন সেভাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনও বর্তমানে দেশের ক্রান্তিলগ্নে পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ইতোমধ্যে করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো পরামর্শ ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য চালু করা হয়েছে ২৫ টি মোবাইল হটলাইন নাম্বার। যেখানে দেশ বিদেশের অনেক মানুষ ফোন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন। তাছাড়া দেশের প্রায় সব বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ব্যাক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পিপিই সরবরাহ করার পরিকল্পনা জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের রয়েছে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।