পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে গোরখোদকের সঙ্গে লাশের স্বজনদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কবর খোদার আগে টাকা না দেয়ায় গতকাল বিকেলে এমন ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের পূর্ব রসুলপুরের বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব দীন ইসলাম দীর্ঘদিন লিভার ক্যান্সারে ভোগার পর গতকাল মারা যান। বিকেলে তার লাশ দাফনের জন্য আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানে নিয়ে এলে খোদাই করা কবর পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে গোরখোদকের সঙ্গে স্বজনদের কথাকাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দীন ইসলামের স্বজনদের অভিযোগ, গোরখোদক যে কবরটি খোদাই করেছিলেন সেটা খুবই ছোট। পরে তারা কবরটি আরও একটু খুঁড়ে বড় করতে বললে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন গোরখোদক। এ সময় তারা টাকা চাওয়া গোরখোদককে বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন তো এ কবরস্থানে প্রতিটি লাশ বিনামূল্যে দাফন করে। দাফনের কফিন থেকে শুরু করে বাঁশ, চাটাই ও হোগলা তারাই সরবরাহ করে। দাফন শেষে তারা খুশি হয়ে কিছু টাকা বখশিশ দেবেন বললে গোরখোদকরা সাফ জানিয়ে দেন, ‘আগে টাকা পরে দাফন, পছন্দ না হলে লাশ নিয়ে কবরস্থান থেকে চলে যান’। এ নিয়ে গোরখোদক ও কবর দিতে আসা বৃদ্ধের স্বজনদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়।
স্বজনদের অভিযোগ, তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে গোরখোদকদের ২-৩ জন রামদা ও লাঠি নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এক তরুণের ঘাড়ে কোপ দেয় তারা। তিনি সরে যাওয়ায় গলায় সামান্য আঘাত লাগে। সরে না গেলে তার মাথা কেটে কবরস্থানে পড়ে থাকতো। হামলার শিকার কয়েকজন জানান, তাদেও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন।
এদিকে দুপক্ষের চিৎকার চেচামেচিতে কবরস্থান সংলগ্ন নতুন পল্টন লাইনের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। দুপক্ষের চিৎকার চেঁচামেচিতে নিউ মার্কেটের সামনে টহলরত পুলিশ সদস্যরা কবরস্থানে ছুটে আসেন। পুলিশ এলে টাকা দাবিকারী ও হামলাকারী ওই গোরখোদকরা পালিয়ে যান।
তবে পুলিশ দীন ইসলামের দাফন করতে আসা শাকিল নামে এক যুবককে আটক করে। এছাড়া জাহিদ নামে হামলাকারী গোরখোদককেও আটক করে পুলিশ। পরে খরব দিয়ে অন্য গোরখোদক নিয়ে আসলে বৃদ্ধের লাশ দাফন হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আজিমপুর কবরস্থানের মোহরার হাফিজুর রহমান দাফন নিয়ে দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, টাকা দাবি করেছে কি-না তা জানি না। তবে কবরটি খোঁড়া ঠিক হয়নি বলে তর্কবিতর্ক থেকে সংঘর্ষে রূপ নেয়। পুলিশ জাহিদ নামে এক যুবককে আটক করেছে।
তিনি জানান, কবর খোদাই করলেও তিনি সিটি করপোরেশেনের স্টাফ নয়। দাফন-কাফনের জন্য বাঁশ, চাটাই সরবরাহকারী ঠিকাদারের লোক। ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
লালবাগ থানার ওসি কেএম আশরাফউদ্দিন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই সংঘর্ষ থেমে যায়। তিনি আরো জানান, সংঘর্ষেও পর দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়ে যাওয়াতে আটকদেও ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।