নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ বর্তমানে নেদারল্যান্ডসে আছেন। সেখানকার আমস্টারডাম থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দুরে ইদে শহরে অবস্থান করলেও রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। করোনাভাইরাস আতঙ্কে ২৪ দিন ধরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও বাংলাদেশের সাবেক শিষ্যদের উপদেশ দিতে ভুলেননি ডি ক্রুইফ। সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রুইফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমেই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস কতটা প্রভাব ফেলেছে তা জানতে চেয়ে নিজ দেশ সম্পর্কেও বলেন। ক্রুইফ জানান, নেদারল্যান্ডসের অবস্থা খুব খারাপ। সেখানে করোনায় আক্রান্ত রোগির সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা গেছেন।
নেদারল্যান্ডসের চেয়ে বাংলাদেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কম হলেও করোনাভাইরাসকে হালকাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান ক্রুইফ। করোনার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতা ও শৃঙ্খলাকে বেশি গুরুত্ব দেন এই ডাচ কোচ।
ক্রুইফ বলেন, ‘এই দূর্যোগের সময়ে মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সচেতন থেকে শৃঙ্খলা বজায় রেখে নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা। বিশ্বের সব দেশের মানুষই এখন কঠিন সময় পার করছে। এই সময় হেয়ালিপনার কোনো সুযোগ নেই।’
বিশ্বের সব দেশেই খেলা স্থগিত, তাই ক্যাম্প বন্ধ। করোনা আতঙ্ক নিয়ে ফুটবলাররা এখন যে যার ঘরে। বাংলাদেশেও একই অবস্থা। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলাপেও ক্রুইফ বাংলাদেশের সাবেক শিষ্যদের খোঁজ নিতে ভুলেননি। সাবেক শিষ্যদের খোঁজ নেয়ার পাশাপাশি তিনি দিলেন কিছু উপদেশও।
ক্রুইফ বলেন ‘ফুটবলাররা যারা এখন বাড়ীতে আছেন তাদের ব্যক্তিগত কাজটুকু করে যেতে হবে। বাসায় সময়টা শৃঙ্খলার মধ্যে কাটাতে হবে। ফিটনেস ধরে রাখতে যতটুকু কাজ করার দরকার তা করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো- অবশ্যই সবাইকে ঘরে থাকতে হবে। নিজের এবং পরিবারের অন্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এটা বেশি প্রয়োজন।’ তিনি যোগ করেন,‘আমি তোমার মাধ্যমে বাংলাদেশের সব ফুটবলারকে সচেতনভাবে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। আমি জানি তারা ঠিক কাজটিই করবেন।’
৫০ বছর বয়সী লোডভিক ডি ক্রুইফ বর্তমানে নিজ দেশের একটি ক্লাবের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।