Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিঙ্গাপুর কোয়ারেন্টিনে ২০ হাজার অভিবাসী শ্রমিক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০২০, ৭:০৮ পিএম

করোনাভাইরাস আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে সিঙ্গাপুরে ২০ হাজার অভিবাসী শ্রমিককে কোয়ারেন্টিন করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এজন্য শ্রমিকরা থাকেন এমন দুইটি ডর্মিটরি অর্থাৎ আবাসস্থলকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। রোববার দেশটিতে নতুন করে রেকর্ড ১২০ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। ডর্মিটরি থেকেই তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুরের পাঙ্গল এলাকায় এস-১১ ডর্মিটরিতে ১৩ হাজার শ্রমিক থাকেন, যেখানে ইতিমধ্যে ৬৩জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। ওয়েস্টাইল টোহ গুয়ান ডর্মিটরিতে ৬৮০০ শ্রমিক থাকেন যাদের মধ্যে ২৮জন আক্রান্ত হয়েছেন। এসব ডর্মিটরিতে মূলত দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নির্মাণ শ্রমিকেরা বাস করেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই দুইটি আবাসিক ভবনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হার বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে কোয়ারেন্টিনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শ্রমিকদের নিজেদের কামরা ও ব্লক থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের রুম বা ফ্লোরে থাকে না, এমন মানুষদের সঙ্গেও মিশতে নিষেধ করা হয়েছে। ডর্মে থাকা শ্রমিকদের রোজ তিনবেলা করে খাবার দেয়া হচ্ছে, কিন্তু সেখানকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। একেক কামরায় বসবাসরত মানুষের সংখ্যা একেক ডর্মে একেক রকম। কিন্তু ২০১৫ সালে বিবিসির এক অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছিল কোন কোন কামরায় এমনকি ১২ জন পর্যন্ত অবস্থান করেন। এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ যদিও আগাম সতর্কতামূলক অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে, কিন্তু দেশটিতে ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে লকডাউন শুরু হতে যাচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ