মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ২০১১ সালে উৎখাত করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিল। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে তার দলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।
৬৮ বছর বয়সী সাবেক এ সরকারপ্রধানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তার দল ন্যাশনাল ফোর্সেস অ্যালাইয়েন্স (এনএফএ)।
২০১১ সালে গাদ্দাফিকে সরিয়ে দেশের দায়িত্ব নিয়ে ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন এনএফএ। গত দুই সপ্তাহ জিবরিল হাসপাতালেই ছিলেন বলে জানান এ দলের সেক্রেটারি খালেদ আল মিরমি।
২১ মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কাইরোর গানজোরি স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন। তিন দিন পর তার করোনা ধরা পড়ার কথা জানান ওই হাসপাতাল পরিচালক হিশাম ওয়াগদি।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে ওয়াগদি বলেন, গতকালের আগের দিনে তিনি সেরে উঠছিলেন। কিন্তু আবারো অসুস্থ হয়ে পড়েন।
২০১১ সালে বিপ্লবে যোগ দেয়ার আগে গাদ্দাফি সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন জিবরিল।
তিনি বিদ্রোহী গ্রুপ জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের (এনটিসি) প্রধান ছিলেন। গাদ্দাফি সরকার উৎখাতে ও তাকে হত্যায় ন্যাটোকে সমর্থন দেয় তার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
পরের বছর চার দশকে প্রথম স্বতন্ত্র নির্বাচন হয় লিবিয়ায়। তার আগে সাত মাসের জন্য জিবরিল অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান ছিলেন। নির্বাচনে তার দল ভোটে জিতলেও আইনসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। তাতে তিনি মুস্তাফা আবুশাগুরের কাছে হেরে যান। পরের বছর দেশে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা বেড়ে গেলে তিনি বিদেশে চলে যান। সম্প্রতি বেশিরভাগ সময়ই তিনি মিসরে ছিলেন।
জিবরিলের মৃত্যুর আগে লিবিয়ার ত্রিপোলির আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার করোনায় ১৮ জনের আক্রান্তের ও একজনের মৃত্যুর খবর জানায়।
হাসপাতাল পরিচালক ওয়াগদি বলেন, শুরু থেকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। কয়েক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার কথাও ছিল। কিন্তু পারেননি হাসপাতাল ছাড়তে। চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
সূত্র : আলজাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।