নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
করোনাভাইরাসের মহামারির সময়ে হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন অনেকেই। ক্রিকেটাররা দিচ্ছেন আর্থিক অনুদান। সরাসরি ত্রাণ বিতরণও করছেন কেউ কেউ। ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও তাদের একজন। নিম্ন আয়ের মানুষদের সহায়তা করার পর এই ক্রিকেটার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন।
মহামারির সময়ে খেলাধুলা বন্ধ থাকায় মোসাদ্দেক আছেন নিজ এলাকা ময়মনসিংহে। সেখানে আগে একবার তিনি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও খাদ্য সামগ্রী দান করেছেন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষকে। আর শনিবার তিনি ত্রাণ নিয়ে যান তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের কাছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই ক্রিকেটার জানিয়েছেন যে ভাবনা থেকে তার এই উদ্যোগ, ‘আমাদের সমাজের যদি সবচেয়ে অবহেলিত কেউ থেকে থাকে, তারা হলেন ‘তৃতীয় লিঙ্গ বা ট্রান্সজেন্ডার’। আমি ব্যক্তিগতভাবে উনাদের আপনি করে বলি। কখনো ‘হিজড়া’ বলে ডাকি না। কেমন জানি মনে হয় দূরে ঠেলে দিচ্ছি তাই আরকি... প্রথমত, আমরা অনেকেই তাদের মানুষ হিসেবে গোনায় ধরি না, যদি ধরিও, তবুও তারা আমাদের থেকে নিচু প্রজাতিরই ভেবে থাকি। যা কি-না খুবই লজ্জাজনক।’
‘অনেকেই দেখছি গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষকে ত্রাণ দিচ্ছে। প্যাকেট ভরে ভরে। যা আমি খুবই সম্মানের সঙ্গেই দেখছি। তবে আমি অনেকটাই নিশ্চিত যে, আমার পোস্ট দেখার পর অনেকের মনে হবে, ওরে, ওরাও তো আমাদের মাঝে ছিল। উনাদের নিয়ে তো ভাবা হলো না। কিছু করা হলো না। ওদের অবস্থান আমাদের সমাজে কোথায় এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে।’
সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ এর হানা লেগেছে বাংলাদেশেও। জনজীবন অনেকটাই স্থবির। এই অবস্থায় নিম্ন আয়ের এবং দিনমজুর মানুষরা পড়েছেন বিপদে। তাদের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নিয়েছেন উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় চুক্তি ও সাম্প্রতিক সময়ে খেলা ২৭ ক্রিকেটার দিয়েছেন এক মাসের বেতনের অর্ধেক। এছাড়া মোসাদ্দেকসহ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররাও মাসিক বেতনের অর্ধেক দান করেছেন সংকটে থাকা মানুষদের সহায়তায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।