মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের পরিবেশ ও সরঞ্জামের শোচনীয় অবস্থা উঠে এসেছে নিবিড় পরিচর্যা বিভাগের একজন চিকিৎসকের বক্তব্যে। করোনাভাইরাসের কারণে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, যাদের অবস্থা সংকটময় তাদের জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে হাসপাতালগুলো। মূলতঃ নিবিড় পরিচর্যা সেবা (আইসিইউ) বাড়াতেই এই উদ্যোগ। কিন্তু তাদের অভিযোগ যথাযথ সাপোর্ট বা সরঞ্জাম তারা পাচ্ছেন না। বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তারা যে বিষয়টিতে জোর দিয়েছেন তা হলো সরঞ্জামের অভাব। তাদের গণমাধ্যমে কথা বলতেও নিষেধ করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের একজন কর্মরত চিকিৎসক বিবিসির সাথে কথা বলতে রাজি হয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে। আমরা তার নাম পরিবর্তন করে দিয়েছি এখানে। ড. রবার্টস, খাদের কিনারায় থাকা একটি হাসপাতালের কথা বলছেন। এই হাসপাতালের আইসিইউ এখন কোভিড-১৯ রোগীতে পরিপূর্ণ। যা যা মনে করা হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় তার সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, এমনকি তার মধ্যে আছে ক্যান্সার ক্লিনিক। এই হাসপাতালে কর্মীর অভাব আছে, সংকটময় রোগীর জন্য বিছানার অভাব আছে, একদম সাধারাণ এন্টিবায়োটিক ও ভেন্টিলেটরের অভাব আছে। ধারণা করা হচ্ছে- যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস ১৪ থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে বড় আঘাত হানবে, বিশ্লেষকদের ভাষায় যেটাকে বলা হচ্ছে পিক টাইম। বিবিসি বাংলা এ খবর জানিয়েছে। অপর দিকে, করোনাভাইরাসে যুক্তরাজ্যে সাত থেকে ২০ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির র্শীর্ষস্থানীয় এক মহামারি বিশেষজ্ঞ। রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন চার হাজারের বেশি মানুষ। ব্রিটিশ মহামারি বিশেষজ্ঞ নীল ফার্গুসন বিবিসির অ্যান্ড্রু মারকে বলেন, বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, করোনার এই মহামারিতে যুক্তরাজ্যে ৭ থেকে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যেতে পারে। তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে করোনার বিস্তারের গতি কিছুটা ধীর হয়েছে; যা লক্ষণ দেখে বোঝা যাচ্ছে। তবে যুক্তরাজ্যে আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ চ‚ড়ায় পৌঁছতে পারে এই মহামারি। অধ্যাপক ফার্গুসনের প্রণীত মডেলের আলোকে দেশটির সরকার জনগণের জন্য করোনাভাইরাসের নির্দেশনা তৈরি করেছে। সংক্রমণের সংখ্যা কত দ্রুত কমে আসে অথবা সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছলেও সেটি কতদিন থাকবে, সেদিকেই আমাদের এখন বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এসব নির্ভর করছে আমরা বর্তমানে কী ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি তার ওপর। এর আগে গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ইংল্যান্ড শাখার মেডিকেল পরিচালক অধ্যাপক স্টিফেন পোউয়িস বলেন, যুক্তরাজ্যে আমরা যদি প্রাণহানির সংখ্যা ২০ হাজারের নিচে রাখতে পারি, তাহলে ধরে নেবো ভালো করেছি। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখ ৫ হাজার ৮০১ ও মৃত্যু হয়েছে ৬৪ হাজার ৯৭৩ জনের। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬১ জন। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।