মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম করোনাকে ‘চাইনিজ ভাইরাস’ বলে উল্লেখ করেন। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আন্তর্জাতিক মহলে অনুযোগ করে চীন বলে, এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে যে দেশে সেই চীনকে দোষী করা নিরর্থক। গোটা বিশ্বের একটা বড় অংশের কাছেই আশঙ্কা দেখা দেয়, করোনাভাইরাস কি আদৌ পশুর দেহ থেকে ছড়িয়ে পড়া কোনও ভাইরাস নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে চীনের সেই উহানের কোন ল্যাবরোটরিতে তৈরি? গোটা ইউরোপে যখন মৃত্যুমিছিল চলছে, তখন হঠাতই এবার ব্রিটেনে সেই চীনা ল্যাবে করোনা তৈরির তত্ত্ব সমর্থন করল।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজে করোনা আক্রান্ত হয়ে হয়েছেন। তার নেতৃত্বাধীন জরুরিকালীন কমিটি ‘কোবরা’ চীনের গবেষণাগার থেকে জীবাণু ছড়ানোর তত্ত্ব ফের সামনে নিয়ে এল। যদি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ব্রিটেনের চীনা রাষ্ট্রদূত জেং রংয়ের দাবি, ‘চীন এমন যদি করে থাকত, তাহলে সেখানে এত মানুষের মৃত্যু হত না।’
করোনায় গোটা বিশ্বজুড়ে মৃত্যুমিছিল চলছে। এখনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। অনেক বিশেষজ্ঞই অবশ্য এই ভাইরাসের পিছনে চীনের উহানের পশু মার্কেটের দিকেই আঙুল তুলেছেন। তবে বিজ্ঞানীরা যাই বলুন, ইউহান প্রদেশের গবেষণাগারে জীবাণু তৈরির তথ্য উড়িয়ে দিচ্ছে না ব্রিটেনের বিশেষ কমিটি। তারা বছর দুয়েক আগের চীনের সংবাদপত্র পিপলস ডেলি চায়নার একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, ‘চীনের ভাইরোলজি ইন্সটিটিউট ইবোলার চেয়ে ভয়ংকর এক জীবাণু নিয়ে গবেষণা করছে। ৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছিল এর জন্য। বণ্যপ্রাণী বাজার থেকে মাত্র দশ মাইল দূরে তৈরি করা হয়েছিল।’
এর আগে ইরানের মানুষের বিরুদ্ধে জৈব অস্ত্র হিসেবে করোনাভাইরাস প্রয়োগ করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তেহরান। সরকারি নির্দেশে সে দেশের গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বিজ্ঞানীদের একটি দল যৌথ ভাবে বিষয়টির তদন্ত করছে। চীন ছেড়ে করোনা বিশ্বমুখী হওয়ার পর থেকেই নানামহলে করোনাভাইরাস নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। করোনা আদতে জৈবঅস্ত্র কি না, তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ পোষণ করতে থাকে। সেই সন্দেহ থেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে তদন্তে নেমেছে ইরান।
করোনাবিরোধী লড়াইয়ে ইরানের জাতীয় সদর দফতরের অভিযান সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা জেনারেল নাসরুল্লাহ ফাতিয়ান এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসকে জৈবঅস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের আশংকার যে কথা শোনা যাচ্ছে, তা উড়িয়ে দেয়া যায় না।সম্ভাব্য সবদিক থেকে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাসরুল্লাহ ফাতিয়ান বলেন, ইরানি জনগোষ্ঠীর জেনেটিক গঠনকে কেন্দ্র করে, তাদের ওপর হামলার জন্য এ ভাইরাস তৈরি করা হয়েছে বলেও জল্পনা শোনা যাচ্ছে। এর সত্যতাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সূত্র: ডেইলি মেইল, টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।