দুই কলগার্লের সঙ্গে বন্ধুকে নিয়ে রাতে সাড়ে তিন ঘণ্টা ফূর্তি করলেন কাইল ওয়াকার। পরদিন এক ইন্টারভিউয়ে ভক্তদের বললেন, ‘নিরাপদ থাকতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।’ এমন দ্বিমুখী চরিত্রে তোপে পড়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির এই ইংলিশ ডিফেন্ডার।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় গত ২৩শে মার্চ তিন সপ্তাহের জন্য
লকডাউন ঘোষণা করে বৃটেন। সবধরনের গণজামায়েত নিষিদ্ধ করা হয়। পরদিন নিজের বিলাসবহুল এপার্টমেন্টে দুই কল গার্লকে ডাকেন ওয়াকার। বৃটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান পতিতাদের একজনের পরিচয় জানিয়েছে। ২১ বছর বয়সী সিঙ্গেল মাদার লুসি ম্যাকনামারা। যার সঙ্গে ছিল ২৪ বছর বয়সী এক ব্রাজিলিয়ান কলগার্ল। দুজন একই ট্যাক্সি ক্যাবে করে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টায় পৌঁছেন কাইল ওয়াকারের চেশায়ারের বাসায়।
এরপর ওয়াকারের এক বন্ধু কলগার্লদের নিয়ে যায় ইংলিশ ফুটবলারের এপার্টমেন্টে।
দ্য সানকে লুসি বলেছে, ‘‘আমি ম্যানচেস্টারের এক এজেন্সির হয়ে কাজ করি। বসের কাছ থেকে একটা মেসেজ পাই যেখানে তিনি লিখেন, ‘একজন হাইপ্রোফাইল ক্লায়েন্ট ক্ল্যাসি কাউকে খুঁজছেন।’ ক্যাবের ড্রাইভার ঠিকানানুযায়ী এপার্টমেন্টের গেটে আমাকে নামিয়ে দেয়। তার এক বন্ধু আমার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। গাড়িতে আরেকটি মেয়ে ছিল। সে না বলার আগ পর্যন্ত আমি জানতাম না যে কাইল ফুটবল তারকা। কারণ নিজের পরিচয় গোপন রেখেছিল কাইল। কিন্তু আমি তার কয়েকটি ছবি তুলে রেখেছিলাম।’
লুসির তোলা একটি ছবিতে দেখা গেছে, টাকা গুনছেন কাইল। তিনি ও তার বন্ধু তিন ঘণ্টা ফূর্তির বিনিময়ে ২ হাজার ২০০ পাউন্ড দিয়েছেন ওই দুই কলগার্লকে। পাওনা হাতে পাওয়ার পর রাত ২টার দিকে বেরিয়ে গিয়েছিল তারা।
সেদিনই এক টুইট বার্তায় কাইল ওয়াকার লিখেন, ‘প্লিজ সবাই ঘরে থাকুন। এই কঠিন মুহূর্তে ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন কিন্তু তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাবেন না।’ আর পরদিন বুধবার এক ইন্টারভিউয়ে ওয়াকার বলেন, ‘ঘরে থাকুন। নিয়মিত হাত ধৌত করুন। সেসব বিধিনিষেধ রয়েছে সেগুলো মেনে চলুন।’
ওয়াকারের এমন আচরণে অবাক কল গার্ল লুসিও, ‘রাতে সে অচেনা কলগার্লদের ঘরে ডাকলো সেক্সপার্টির জন্য। পরদিন সবাইকে নিরাপদ থাকার লেকচার দিলো। সে একটা হিপোক্রেট যে কিনা মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলছে।’
কাইল ওয়াকারের ওপর বেজায় চটেছেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচ গ্যারেথ সাউথগেটও। তার দিক থেকে সমালোচনার তীর ছুটে আসায় এক বিবৃতিতে ওয়াকার বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমি যা করেছি তার জন্য সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি বুঝতে পেরেছি পেশাদার ফুটবলার হিসেবে সবার রোল মডেল হওয়া উচিত আমার। দ্বিমুখী আচরণেল জন্য আমি আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, ফুটবল ক্লাব এবং সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাই।’