মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা গতকাল শুক্রবারের তুলনায় অনেকটা কমে এসেছে। তবে ইউরোপের কিছু দেশে শঙ্কা বাড়াচ্ছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফ্রান্সে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৩, স্পেনে ৮০৯, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫৮, ব্রিটেনে ৭০৮, ইতালিতে ৬৮১, হল্যান্ডে ১৬৪, ইরানে ১৫৮, বেলজিয়ামে ১৪০, জার্মানিতে ৫৫, সুইজারল্যান্ডে ৫০, ইকুয়েডরে ২৭ এবং আলজেরিয়ায় ২৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আর এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্বের ২০৫টি দেশ-অঞ্চলে ৪৬ হাজারের বেশি নতুন শনাক্তের সাথে সাথে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৮২ হাজার ৩৯৮ জনে। ওদিকে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ৮৯৯ জনে। তবে সুস্থ হয়ে পরিবারে ফেরা মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৭১ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে আরো প্রায় ২৪ হাজার শনাক্তের মধ্য দিয়ে ৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃত দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১৬২ জনে।
এদিকে ইতালির করোনভাইরাস মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং শনাক্ত প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার পেরিয়ে গেছে। তবে মৃত্যু ও সংক্রমণের হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। সিভিল প্রোটেকশন এজেন্সি প্রকাশিত শুক্রবারের পরিসংখ্যান একদিন আগে নিবন্ধিত ৭৬০ জন মৃত্যুর দৈনিক সংখ্যার তুলনায় সামান্য বেশি (৭৬৬ জন)। নতুন শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা কম ছিল আগের ৪,৬৬৮ এর তুলনায় সামান্য কম ৪,৫৮৫ জন। এর ফলে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৮২৭ জনে। তবে ইতিবাচক সংবাদ, শনিবার পর্যন্ত টানা ৬ দিন যেখানে নতুন শনাক্তের সংখ্যা ৪,০৫০ থেকে ৪,৮০৬ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সরকার আশা করছে যে, মহামারীটি অদূর ভবিষ্যতে প্রত্যাশিত হ্রাসের আগে একটি মালভ‚মিতে এসে পড়েছে।
ইতালি প্রতিদিন শনাক্তের সংখ্যায় গত ২১ মার্চ সর্বোচ্চ ৬,৫৫৭টিতে পৌঁছে। গত ৪ দিন ধরে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৬৮১ থেকে ৭৬৬ এর মধ্যে ছিল যা মঙ্গলবারের ৮৩৭ থেকে কম। গত সপ্তাহের শুক্রবার সেটি সর্বোচ্চ ৯৯৯-এ পৌঁছেছিল।
দেশজুড়ে আগে সংক্রমিতদের মধ্যে গতকাল প্রায় ২১ হাজার মানুষ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে। আগের দিন ছিল ১৯ হাজার ৭৫৮ জন। সেখানে ৪,০৬৮ জন আইসিইউতে ছিলেন যা আগের ৪,০৫৩ জনের চেয়ে বেশি।
বিশ্বের অন্য যে কোন দেশের তুলনায় ইতালিতে মৃত্যুর হার বেশি এবং বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতদের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি।
প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রবিন্দু লোম্বার্ডিতে প্রতিদিনের মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। বৃহস্পতিবার ৩৬৭ এর বিপরীতে শুক্রবার ৩৫১তে নেমে আসে। তবে নতুন সংক্রমণ বেড়ে ১,২২২ এর বিপরীতে হয়েছে ১,৪৫৫ জন।
প্রতিদিনের তালিকা করে আসছে ডাক্তারদের এমন একটি ফেডারেশন জানিয়েছে যে, ইতালির নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৭৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন। একজন কার্ডিওলজিস্ট, একজন জেনারেল প্রাক্টিশনার ও একজন মেডিকেল প্রফেসরসহ শুক্রবার আরও পাঁচজনকে গণনায় যুক্ত করা হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার চিকিৎসাকর্মী সংক্রামিত বলে মনে করা হচ্ছে। তারা যখন গুরুতর হন তখন তাদের পরিষেবা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
ইতালিয়ান স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সঙ্কটের মাত্রা দেখে বিস্মিত, বিশেষ করে উত্তর ইতালিতে যেখানে ফেব্রুয়ারির শেষদিকে সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। ইতালিতে ইতোমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, স্পেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, যদিও সংক্রমণের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে রয়েছে।
নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান অ্যাঞ্জেলো বোরেলি বলেছেন যে, ইতালির লকডাউন ব্যবস্থা মে মাসেও অব্যাহত থাকবে। অপ্রয়োজনীয় ব্যবসায়ের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ ইতিমধ্যে কমপক্ষে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় স¤প্রচারক আরআইয়ের সাথে একটি রেডিও সাক্ষাৎকারে, বোরেলিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, ব্যবস্থাগুলো আরও কয়েক সপ্তাহ স্থানে থাকা দরকার কি না।
তিনি জবাব দেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে তা থাকবে’। ‘আমি বিশ্বাস করি না যে এই পরিস্থিতি ... ১ মে’র মধ্যে কেটে যাবে, আমাদের অত্যন্ত কঠোর হতে হবে’।
আগের লাশগুলোর সৎকার করার জন্য মিলান শহর ইতোমধ্যে বাকি মাসের জন্য তার কবরস্তানটি বন্ধ করে দিয়েছে। সূত্র : ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।