পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় ৫টি ক্ষুধার্ত কুকুর ঢুকে গত শুক্রবার ভোররাতে চারটি হরিণশাবক খেয়ে ফেলার ঘটনা উদ্যান কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা ও অস্বীকার করলেও পরে তা প্রকাশ হয়ে পড়ে। সিটি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে সকালেই হরিণগুলোর দেহের অবশিষ্টাংশ মাটিচাপা দেয়া হয়। কুকুরের পেটে যাওয়া চার হরিণের তিনটিই বাচ্চা। একটি তাদের মা।
সুপারভাইজার শরিফুল ইসলাম জানান, চিড়িয়াখানায় গত তিন মাসে হরিণের ১৫টি বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। নেড়ি কুকুরের দল ঢোকার সময় সেডে মোট হরিণ ছিলো ৭৫টি। কুকুরে খাওয়ার পর এখন হরিণের সংখ্যা ৭১টি। হরিণগুলোর দেহের অবশিষ্টাংশ সেডের ভেতরে যেখানে পুঁতে ফেলা হয়েছে। সে জায়গাটি এখনও উঁচু হয়ে আছে।
পার্কেও বেশকিছু জমি নিয়ে হরিণের সেড করা হয়েছে। এর ভেতর টিন দিয়ে দুটি ঘর রয়েছে। হরিণেরা সেখানে পানি ও খাবার খায়। ছায়ায় বিশ্রাম করে। বাকি অংশটুকু হরিণের বিচরণের জন্য ফাঁকা পড়ে আছে। চারপাশে আছে লোহা এবং কাঁটাতারের বেড়া। চিড়িয়াখানার একটি সূত্র জানিয়েছে, কর্মচারীদের ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করার কারনে সেডের ভেতর চারটি হরিণ নির্মমভাবে কুকুরের পেটে গেছে।
এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার তত্ত¡াবধায়ক মাহবুব হোসেন বলেন, করোনার কারণে সাধারণ ছুটি কাটাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাই তদারকি হয়তো কম ছিল। এ ফাঁকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। চিড়িয়াখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শহরের হোটেলগুলো বন্ধ থাকায় কুকুরের খাবার সঙ্কট আছে। তাই ৫ টি নেড়ি কুকুর চিড়িয়াখানায় ঢুকে পড়ে। বেড়া থাকলেও কুকুরগুলো হরিণের সেডে ঢুকতে পেরেছিল। এ ঘটনায় চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ককে একটি লিখিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যেই তিনি প্রতিবেদন দেবেন। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।