Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গৌরনদীতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশসহ ছাত্রলীগের ১৭ নেতাকর্মী আহত

গৌরনদী (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০২০, ৯:৩৩ পিএম

আধিপত্য বিস্তার ও বালু ভরাটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার বিকালে বরিশালের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড ও উত্তর বিজয়পুর এলাকায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে হামলা-পাল্টাহামলা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্য ও ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মী আহত এবং ২টি বাড়ি ও ২৩টি মোটর সাইকেল ভাংচুর হয়েছে। গুরুতর আহত কনেস্টবল মোঃ মাহাবুব, সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন সুজনসহ ৩ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ১ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
গৌরনদী উপজেলা স্বার্স্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রাশেদুজ্জামান ঝিলাম অভিযোগ করে বলেন, গৌরনদী টিএন্ডটি অফিসের পশ্চিম পাশে আমার ৪৫ শতাংশ জমিতে বালু ভরাট কাজ শুরু করেছি। গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে সরকারি গৌরনদী কলেজের সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগের নেতা সুমন মাহামুদ মোবাইল ফোনে আমাকে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করে। সুমনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ৮/১০ নেতাকর্মী দুপুর আড়াইটার দিকে আমার (ঝিলাম) টরকী বন্দরের ভাড়াটিয়া বাসায় ঢুকে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় আমার স্ত্রী, কন্যা ও ছেলে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও লাঞ্ছিত করে তারা।
সরকারি গৌরনদী কলেজের সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগ নেতা সুমন মাহামুদ অভিযোগ করেন, অধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরধরে উপজেলা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের ইসলাম সান্টু ভূইয়ার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সান্টু ভূইয়া ষড়যন্ত্র করে ঝিলামকে দিয়ে আমাকে তার (ঝিলাম) টরকী বন্দরের ভাড়াটিয়া বাসায় ডেকে নিয়ে আমার ও আমার ২ সমর্থকের ওপর হামলা করে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে আমার সমর্থক সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগে সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন সুজনসহ ৩ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে সান্টুর সমর্থকরা। এরপর সান্টু ভূইয়ার নেতৃত্বে ৩০/৪০টি মোটর সাইকেল যোগে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী বিকাল পৌনে ৫টার দিকে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার মা মিনারা বেগমকে মারধর করে বসত ঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টাহামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর হামলাকারীরা আমার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে আমাকে খুজতে থাকে। সেখানে আমাকে না পেয়ে শ্বশুর বাড়ি ভাংচুর করে।
হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার সাথে উপজেলা ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নেই দাবি করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের ইসলাম সান্টু ভূঁইয়া বলেন, শুনেছি চাঁদার দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুজ্জামান ঝিলামের ওপর সুমন মাহমুদসহ অন্যান্যরা হামলা চালিয়েছে। পরবর্তীতে এ ঘটনার প্রতিবাদে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।
গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আঃ রব হাওলাদার জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে থানার ওসি গোলাম ছরেআয়ার, এসআই সাধন কুমার মন্ডল, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই বাবুল আক্তার, কনস্টেবল মোঃ মাহাবুব, কনেস্টবল মোঃ আব্বাস, কনেস্টবল মোঃ নাইম আহত হয়েছে। উভয় পক্ষের ২০টি মোটর সাইকেল ও ২টি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ৪ জনকে ও ১৫টি মোটর সাইকেল আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গৌরনদী ও টরকী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ পাহারায় রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্রলীগ

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ