বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বড্ড বেকায়দায় পড়েছে সর্দি, কাশি, হাঁচি আর এ্যাজমার ও সাধারন রোগীরা। এখন মওসুম বদলের সময় এসব এসময় প্রতিবছরই দেখা যায়। এসব উপসর্গ কারোনা ভাইরাসের সাথে মিল থাকায় এখন যাদের এসব অসুখ আছে তারা চিকিৎসা নিয়ে বেশ বেকায়দায়। অন্য অসুখের রোগীরাও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। নগর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সর্বত্র ফাঁকা। কারন চিকিৎসা সেবা নেই। বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিকও বন্ধ। ডাক্তারদের প্রাইভেট চিকিৎসা নেই। এখন অসুস্থ রোগীরা যাবে কোথায়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোর ইনডোর ঘুরে গতকাল দেখা যায় রোগীর সংখ্যা অনেক কম। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রোগীরা হাসপাতালে আসতে পারছেনা। আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা তেমন নেই। এখন তাদেও ভরসা গ্রাম্য ডাক্তার আর মুদিদোকানের ঔষধ বিক্রেতা। রোগী নিজে নিজেই ডাক্তার হয়ে গেছে। ঔষধের দোকান ছাড়া সব বন্ধ। এখন এসব ঔষধের দোকানদার বা ডাক্তারের ভূমিকায়। নগরীর বেশকটি ঔষধের দোকান পর্যবেক্ষন কে দেখাযায় রোগের কথা জানিয়ে ঔষধ নিচ্ছে। বেশী বিক্রি হচ্ছে প্যারাসিটামল, সর্দির জন্য এলাকট্রল, ডেসলার, হিসটাসিন জাতীয় ঔষধ। গ্যাসের ট্যাবলেট আর কাশীর সিরাপ দেয়া হচ্ছে। পেটের পীড়ার জন্য ইমোটিল, ফ্লাজিল বিক্রি হচ্ছে। এ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হচ্ছে বেশ। আবার কেউ কেউ এসেছেন পরিচিত ডাক্তাওে কাছে রোগীর উপসর্গ বলে তা নিলে এনে কিনছেন। পাড়ার কোন কোন মুদি দোকানেও মিলছে কিছু কিছু ঔষধ। যার যার সমস্যার কথা বলে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে একজন বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানাগেল তারা বহুদিন ধরে এসব খুচরো ঔষধ বিক্রি করেন গরীব মানুষের কাছে। তারা জানেন কোনটা ব্যাথা আর কোনটা জ্বর কিংবা ডায়রিয়ার ঔষধ। মুদি মালামালের সাথে রয়েছে ঔষধের প্যাকেটও। এদের ক্রেতার সংখ্যা কম নয়। মহল্লা আর বস্তীর মানুষের কাছে ওরাই ডাক্তার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।