মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বেনসন অ্যান্ড হেজেস এবং লাকি স্ট্রাইক সিগারেটের নির্মাতা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি)দাবি করেছেন যে, তারা তামাক গাছ থেকে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। বিএটি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকারের অনুমতি পেলে আগামী জুন মাস থেকে তারা সপ্তাহে ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবে।
ভ্যাকসিনটি বর্তমানে প্রাণীদের উপর পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে বিএটি হোয়াইটহলকে মানুষের উপরে ভ্যাকসিনটি দ্রুত পরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছে অন্যথায় এটি জুনের মধ্যে বাজারজাত করা সম্ভব হবে না। বিএটি বলেছে যে, মহামারীটি মোকাবেলায় তারা তাদের বিশাল তথ্য ভাণ্ডার ও প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। সংস্থাটির বর্তমান বাজারমূল্য ৬ হাজার ৫৫০ কোটি ডলার। তাদের লন্ডন-সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা কোনও লাভ ছাড়াই সরকারের কাছে এই ভ্যাকসিন বিক্রি করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি অনুসারে তামাক সংস্থাগুলো বর্তমানে সরকারের সাথে কোন চুক্তি করতে পারে না, তবে বিএটি বলেছে যে তারা, হু-এর সাথে যোগাযোগের পরিকল্পনা করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, এই ভ্যাকসিন সম্পর্কে মার্কিন ফুড এন্ড ড্রাগ এ্যাডমিনেস্ট্রেশন (এফডিএ) এবং যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ এন্ড সোশ্যাল কেয়ারের সাথেযোগাযোগ করা হয়েছে। তারা চলতি মাসেই সরকারী সংস্থাগুলির সাথে মিলে এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল স্টাডি সম্পন্ন করতে আশা প্রকাশ করছে।
এ বিষয়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পরীক্ষা যদি ঠিকঠাক হয়, তবে বিএটি আশাবাদী যে সঠিক অংশীদারিত্ব এবং সরকারী সংস্থাগুলোর সহায়তায়, জুনের শুরু থেকে প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ থেকে ৩০ লাখ ডোজ তৈরি করা যেতে পারে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিএটি-র সহায়ক সংস্থা কেনটাকি বায়োপ্রসেসিং (কেবিপি) তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে তামাক গাছ থেকে এই টিকাটি তৈরি করেছে। এর আগেও ২০১৪ সালে তারা ইবোলা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করতে সহায়তা করেছিল, যা ‘জেডএম্যাপ’ নামে পরিচিত।
বিএটি বলেছে যে, কেবিপি গবেষকরা করোনভাইরাসটির জিনগত অনুক্রমের একটি অংশ ক্লোন করতে পেরেছেন এবং একটি সম্ভাব্য অ্যান্টিজেন তৈরি করেছেন। অ্যান্টিজেন হল এমন জৈবিক পদার্থ, আমাদের শরীর যেটিকে বহিরাগত হিসাবে চিহ্নিত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যবহার করে যা নিষ্ক্রিয় করতে শুরু করে।
কারোনাভাইরাস অ্যান্টিজেন ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করানো হলে, তা দেহকে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে প্ররোচিত করতে পারে যা সত্যিকারের ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজন। সূত্র: ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।