গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সকাল ৯টা। রাজধানীর সাইন্সল্যাবের রোডে প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও রিকশার যানজট লেগে আছে। তাদের পথরোধ করে দাঁড়িয়ে আছে একদল পুলিশ সদস্য। কয়েকজনের হাতে লাঠি। মিরপুরের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার রশীদ মতিঝিলের দিকে আসতে গিয়ে চার বার পুলিশি বাধার মুখে পড়েছেন। তিনি বলেন, আমার পরিচয়পত্র দেখানোর পর পুলিশ আমাকে ছেড়েছে। তবে রিকশায় আসতে দেয়নি।
অন্যান্যদিন নানা অজুহাতে গাড়ি চলতে দেখা গেলেও আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে সিংহভাগ গাড়িই ফিরে যেতে বাধ্য করছিলেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।
মোটরসাইকেল বা রিকশায় একজনের বেশি দেখলেই তাদের নেমে যেতে বাধ্য করছিলেন। মতিঝিল এলাকার একজন ব্যাংকার রিকশা নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাকে পুলিশ সদস্যরা রিকশা থেকে নামিয়ে দিলে তিনি পুলিশ অফিসারকে গিয়ে বলেন তার কাছে ব্যাংকের ভল্টের চাবি, তাকে যেন যেতে দেয়া হয়। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা সাফ জানিয়ে দিলেন রিকশা করে যেতে দেওয়া হবে না।
মিটফোর্ড হাসপাতালে একজন টেকনোলজিস্ট তাকে রিকশা নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুনয় বিনয় করছিলেন কিন্তু তাকে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। খাদ্য পণ্যবাহী গাড়িতেও একাধিক লোক থাকলে তাদেরও ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ সদস্য জানান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আজ থেকে তারা মাঠে কঠোর হবেন। প্রয়োজনে মামলা দায়ের করা হবে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজপথে পুলিশের তৎপরতা বাড়লেও পাড়া মহল্লায় আজও দোকানে দোকানে আড্ডা দিচ্ছে বখাটেরা। দনিয়া এলাকার বাসিন্দা মাহমুদ টেলিফোনে জানান, দনিয়া বর্ণমালা স্কুল রোডে প্রতিদিন বিকালে শত শত বখাটে আড্ডা দেয়। অনামিকা গ্রিন নামক ভবনে কয়েকটা ফাস্টফুডের দোকানকে কেন্দ্র করে বখাটেদের আড্ডা চলে সন্ধ্যার পর থেকে। যাত্রাবাড়ী থানার ওসিকে এ ব্যাপারে কয়েকবার জানানোর পরেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।