বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভোলার বোরহানউদ্দিনে সাংবাদিক সাগর চৌধুরীর উপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা নাবিল হায়দারকে গ্রেফতার করেছে বোরহানউদ্দিন পুলিশ। বুধবার (০১ এপ্রিল) বোরহানউদ্দিনের পৌর এলাকায় নাবিলের নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে ভোলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আগামীকাল তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হবে।
জানা গেছে, ভোলার বোরহানউদ্দিনে মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে স্থানীয় সাংবাদিক সাগর চৌধুরীকে ডেকে এনে প্রকাশ্যে নির্যাতন করে ছাত্রলীগ নেতা নাবিল হায়দার। এই নির্যাতনের ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে সাংবাদিক সমাজের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হামলাকারী নাবিল হায়দারকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। এই ঘটনা সাংবাদিক নাবিল চৌধুরী রাতে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লালমোহন সার্কেলের রাসেলুর রহমান বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের একটি টিম নিয়ে আজ বুধবার সকালে নাবিল হায়দারকে নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তাকে ভোলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রেরণ করা হয়। নাবিলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার কোর্টে প্রেরন করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
নির্যাতিত সাংবাদিক সাগর চৌধুরী জানায়, জেলেদের বরাদ্দকৃত চাল রাতের আধারে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা নাবিল হায়দার আমাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে প্রকাশ্যে রাস্তার উপর নির্যাতন চালায়। এমনকি নাবিল এ ঘটনাটি ভিডিও করে ফেইসবুকেও ভাইরাল করে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, বোরহানউদ্দিনের সাংবাদিক সাগর চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনায় রাতে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের হামলাকারী নাবিলকে গ্রেফতার করতে পুলিশ রাতে অভিযান চালায়। পরে সকাল ১১টায় নাবিলের নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে সে ভোলা থানা হেফাজতে রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বৃহস্পতিবার কোর্টে প্রেরণ করা হবে। বাকী আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, সাংবাদিক সাগর চৌধুরীর উপর অমানবিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভোলা সহ দেশের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। তারা হামলাকারী সন্ত্রাসী নাবিল হায়দারের দৃষ্টিমূলক শাস্তি দাবী করেন। বুধবার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে ভোলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আলহাজ্ব মু. শওকাত হোসেন, সাধারন সম্পাদক নাসির লিটন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ আফজাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক এডভোকেট সাহাদাত হোসেন শাহিন, বাংলাদেশ অনলাইস প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক তুহিন খন্দকার, সাংবাদিক ফোরাম, সাংবাদিক সমিতি, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, সাংবাদিক সাগর চৌধুরীর উপর এ ধরনের অমানবিক নির্যাতন সাংবাদিক সমাজের জন্য কালো অধ্যায়। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। আর সেই বিবেকের উপর এই হামলা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। হামলাকারী সন্ত্রাসী নাবিল হায়দারকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। যাতে আর কেউ এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটনাতে না পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।