Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুসলমানদের দোষারোপ করতে অজুহাত বানানো হচ্ছে : ওমর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম

মারকাজ নিজামুদ্দিন মসজিদে তাবলিগ জামাতের সমাবেশে অংশ নেয়া বড় একটা সংখ্যক লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
বলে যে প্রচার চালানো হচ্ছে সেটিকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এ ঘটনাকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর সুযোগ হিসেবে নিয়েছেন কেউ কেউ। যারা ‘তাবলিগ ভাইরাস’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে টুইট করছেন, তাদের ‘আরও বিপজ্জনক’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, প্রাকৃতিকভাবে আসা ভাইরাস একটা সময় শেষ হয়ে যায়, কিন্তু এ ধরনের বিদ্বেষ একটি ছাপ ফেলে রেখে যায় সমাজে। কয়েক দফা টুইট পোস্টে ওমর আবদুল্লাহ বলেন, সর্বত্র মুসলমানদের কলঙ্কিত করতে কারও কারও জন্য এখন তাবলিগ জামাত সহজ অজুহাত হিসেবে সামনে চলে এসেছে। মনে হচ্ছে, আমরাই কোভিড-১৯ সৃষ্টি করে বিশ্বজুড়ে তা ছড়িয়ে দিয়েছি। পাশাপাশি তাবলিগ জামাতের সমাবেশের বিষয়ে তিনি লেখেন, প্রথম দর্শনে যদিও এটাই মনে হচ্ছে যে, এ ঘটনা তাবলিগ জামাতের দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপেরই ফল। তবে এটিও ঠিক যে, এই ধরনের সমাবেশ তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। তবে ভারতের বেশিরভাগ মুসলমানই কিন্তু সরকারি নির্দেশিকাগুলো মানছেন এবং অন্যদের সেই নির্দেশ মেনে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন। এদিকে ভারতের তাবলিগ জামাতের নেতা মাওলানা সাদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার মহামারী আইনে মামলা হয়েছে। দিল্লির মারকাজ নিজামুদ্দিন মসজিদে ধর্মীয় সমাবেশ থেকে ব্যাপকহারে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় এ মামলা হয়েছে। এতে মসজিদ কর্তৃপক্ষকেও আসামি করা হয়েছে। পুলিশের পিআরও মান্দিপ সিং রান্দাওয়ি বলেন, অপরাধ শাখা থেকে এ ঘটনার তদন্ত করা হবে। দেশটির ১৮৯৭ সালের এপিডেমিক ডিজিস অ্যাক্ট ও ভারতীয় দন্ডবিধির অন্য ধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে। নিজামুদ্দিন মসজিদে তাবলিগ জামাতে যোগ দেয়া তেলেঙ্গানার ছয়জন ও শ্রীনগরের একজন নিয়ে মোট সাতজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তা ছাড়া ওই জমায়েতে অংশ নেয়া তামিলনাড়ুর আরও অন্তত ৫০ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদটিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় ২০০০ লোকের জমায়েত হয়েছিল। তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেয়া তিন শতাধিক মানুষকে সোমবার হাসপাতালে নেয়া হয়। মঙ্গলবার মসজিদটি সিল করে দেয়া হয়েছে। আর সেখান থেকে ৭০০-এর বেশি মানুষকে বের করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টিন রাখা হয়েছে। যেসব রাজ্যের মানুষ ওই জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন তাদের খোঁজ করা হচ্ছে রাজ্য প্রশাসন থেকে। এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ