মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাসের করুণ দৃশ্যপট তুলে ধরে বিশ্ব ব্যাংকের আশঙ্কা, বিশ্বের প্রায় ৩৫ মিলিয়ন (সাড়ে তিন কোটি) মানুষ দরিদ্রতায় পতিত হবে। বিশ্বব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) এ খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত বিশ্ব পরিস্থিতিতে সবাইকেই কোনো না কোনো অর্থনৈতিক ভোগান্তিতে পড়তে হবে। বিশেষত শিল্প কারখানার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জীবনযাত্রা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। থাইল্যান্ডসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোর পর্যটন ব্যবসা ভেঙে পড়বে। ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলোর প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবসাও হুমকির মুখে পড়বে।
দৈনিক ব্যয়ক্ষমতা সাড়ে পাঁচ ডলার বা তার নিচে অবস্থান করলে তাকে দরিদ্রদশা হিসেবে চিহ্নিত করে বিশ্বব্যাংক বলেছে, ৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ থাকবে দরিদ্র। তার মধ্যে চীনেরই থাকবে ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ। অন্যদিকে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শতকরা ২.১ ভাগ নেমে আসবে।
বিশ্ব ব্যাংক তার রিপোর্টে বলেছে, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতির ওপর যে প্রভাব পড়েছে, তাতে করে সব দেশই তাৎপর্যপূর্ণভাবে আক্রান্ত হবে। এতে করে যেসব পরিবারের জীবিকা শিল্প-কারখানার ওপর নির্ভরশীল, তারা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এটা তাদের জন্য অশনিসঙ্কেত।
বিশ্ব ব্যাংক নির্দিষ্ট করে বলেছে, থাইল্যান্ডের পর্যটনখাত এবং ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোতে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়বে। বিশ্বের শীর্ষ এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যানুযায়ী, তাদের দৈনিক আয় সাড়ে পাঁচ মার্কিন ডলারের নিচে তারাই দরিদ্র।
বিশ্ব ব্যাংকের অনুমান, করোনাভাইরাসের কারণে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ১ শতাংশ কমে যাবে।
এই অবস্থায় এই অঞ্চলের দেশগুলোকে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসাসমাগ্রী তৈরি কারখানা বর্ধিত করে তাতে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। একই সঙ্গে, অসুস্থ থাকাকালীন কর্মীদের ভর্তুকি দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়েই চলেছে। একই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৮৫ হাজার ৭১২ জন। মারা গেছেন ৩৭ হাজার ৮১৪ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক লাখ ৬৫ হাজার ৬০৬ জন। বর্তমানে বিশ্বের দুইশোর অধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।