মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রকোপ কমতে শুর করেছে। সেখানে নতুন করে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমেছে। দেশটিতে নতুন করে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে নতুন করে আক্রান্ত ৩১ জনের মধ্যে একজন স্থায়ী বাসিন্দা এবং বাকিরা বিদেশি নাগরিক। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৪৭০ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৩০৪ জন। অপরদিকে, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজার ৭শ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। গত কয়েকদিনে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল বিদেশি নাগরিক। স্থানীয় বাসিন্দাদের আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার সংখ্যা ছিল খুবই কম। ফলে বিদেশি নাগরিকদের কারণে নতুন করে করোনার প্রকোপ বাড়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের লাগাম টেনেছে চীন। বিদেশফেরত নাগরিকদের মাধ্যমেই দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় মহামারি শুর হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেকারণে করোনার সংক্রমণ পুরোপুরি শ‚ন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে বিদেশিদের প্রবেশে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে চীন। শুক্রবার রাত থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়। অপরদিকে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কমিয়ে আনার জন্য সব এয়ারলাইন্সকে নির্দেশনা দেয় বেইজিং। নতুন করে যেন বিদেশফেরত নাগরিকদের মাধ্যমে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ৯০ শতাংশই বাতিল করেছে চীন। যেখানে আগে প্রতিদিন ২৫ হাজার যাত্রী বহন করা হতো সেখানে তা কমিয়ে ৫ হাজার করা হয়েছে। গত শনিবার থেকে বিদেশি নাগরিক, বৈধ ভিসাধারীদের ওপর চীনে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবার করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই চীনের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। কিন্তু গত কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে চীন। এর বড় প্রমাণ দেশটির হুবেই প্রদেশ। ওই প্রদেশের উহান শহরই ছিল করোনার উৎপত্তিস্থল। কিন্তু গত ছয়দিনে হুবেই প্রদেশে নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। হুবেই প্রদেশের এমন অল্প সময়ে ঘুরে দাঁড়ানো নিঃসন্দেহে চীনের জন্য খুব ভালো একটি খবর। গত কয়েক মাস ধরে করোনার ভয়াবহতা দেখেছে হুবেই প্রদেশের মানুষজন। এদিকে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কমিয়ে আনার ফলে দেশটিতে বিদেশি নাগরিকদের আক্রান্তের সংখ্যাও কমতে শুর করেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। চীন থেকে বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লেও এখন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে এবং সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। সিনহুয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।