Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘প্রয়োজনে সব স্টেডিয়ামে হবে হাসপাতাল’

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০২০, ৭:২৭ পিএম

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস ইস্যুতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, ‘প্রয়োজনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব স্টেডিয়ামে হবে হাসপাতাল। বিশেষ করে ইনডোর স্টেডিয়ামগুলো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।’

বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক করোনাভাইরাস নিয়ে আলাপকালে সোমবার তিনি আরো বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ইতোমধ্যে সম্ভাব্য সকল ঈস্খস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সরকারের গৃহীত সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারী রূপ ধারণ করেনি এখনো। তবে আমাদের আতœতুষ্টিতে ভুগে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবেলায়। এবং আমি মনে করি আমরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত রয়েছি।’ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন,‘দেশের সব স্টেডিয়াম বিশেষ করে ইনডোর স্টেডিয়ামগুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের চাহিদা মাফিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করতে পারবে। আমরা ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের প্রধান স্টেডিয়ামগুলোতে পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আবাসনের ব্যবস্থা করেছি। রাজধানী ঢাকা ও সকল জেলা মিলিয়ে আমাদের স্টেডিয়াম রয়েছে মোট ৮০টি। এছাড়া ১২৫টি উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম আছে আমাদের। তাই আমি মনে করি এসব স্থাপনায় চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র চালু হলে জনগণের সমস্যা থাকবেনা।’

চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৯ টি দেশের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। যাদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি। আইইডিসিআর-এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে সোমবার পর্যন্ত আক্রান্ত ৪৯ জনের মধ্যে মৃত্য ঘটেছে পাঁচজনের। তাই বাংলাদেশের মানুষ বর্তমানে আতঙ্কিত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তবে দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহবান জানিয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি সবাই ঘরে থাকতে অনুরোধ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্য মজুদ রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। সচেতন থেকে ঘরে অবস্থান করুন। নিজে নিরাপদে থাকুন এবং পরিবার ও দেশকে নিরাপদে রাখুন। আল্লাহর কাছে দেশবাসীর জন্য দোয়া করুন।’

দেশে অবস্থারত প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান, ‘যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তারা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে চলুন। আমরা বৈশ্বিক এই সমস্যা আমরা সমাধান করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।’



 

Show all comments
  • Ahmed. ৩০ মার্চ, ২০২০, ১১:৫৩ পিএম says : 0
    Minister, your people only make hospitals but no service ? Have you noticed, how any people are dying at home instead of hospitals ? People wants to get contact with IEDCR and hospitals but IEDCR,hospitals authorities are saying, stay at home as a quarantine. Then why your people need to make more hospitals? I think all Bangladesh has becoming now as a hospital. So people are dying at home without goverment services and other hand you ( goverment ) are talking like hospitals ? What for is it necessary ? 71" Warfighter is dying without treatments, without bed ! Don't you see or read news ? But if,one of your minister was as same case like poor Warfighter then it could have been to Singapore ? Is not true ? There is no treatments for ordinary peoples but there is for ministers, Mp, their associates rocks,theifs and others get higher treatments ? This is not normal of independence country ? So you no need to build more hospitals for general people ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩
২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
১৮ ডিসেম্বর, ২০২২
১০ ডিসেম্বর, ২০২২
৫ নভেম্বর, ২০২২
২ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ