Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রমিকদের আটকাতে রাজ্য সীমানা বন্ধের বার্তা মোদির

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২০, ৭:২৬ পিএম

রাজ্য সীমান্ত বন্ধ করুন আর পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকান। এভাবে লকডাউনের যৌক্তিকতা নিশ্চিত করুন। এই মর্মে অঙ্গরাজ্যগুলোর কাছে নির্দেশিকা পাঠাল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। একইভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। যে শ্রমিক, যেখানে আটকে, তাকে সেখানেই থাকার ব্যবস্থা করে দিন। খাওয়ার, পানি ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করুন। মোদি সরকারের পক্ষ থেকে রোববার এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজের রাজ্যে ফিরতে পথে নেমেছে। অভিযোগ, ‘যেহেতু কর্মকাণ্ড বন্ধ। তাই তাদের দায় নিচ্ছে না মালিকপক্ষ। কোনও কোনও জায়গায় আবার বাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে শ্রমিকদের।’ এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে গ্রামে ফেরাই এখন উপায়, সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন অনেক শ্রমিক। ফলে এই উপায় বাস্তবায়িত করতে দেশের বিভিন্ন শহরের বাস স্ট্যান্ডে উপচে পড়ছে ভিড়। গাদাগাদি হয়ে বাসে উঠছেন অনেক শ্রমিক। শনিবার দিল্লির আনন্দবিহার বাস টার্মিনাসের ছবি দেখে শিহরিত নাগরিক সমাজ। বাড়িও ফেরার তাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে বাসের অপেক্ষায় শয়ে-শয়ে শ্রমিক ও তার পরিবার। এই পরিস্থিতির বদল চাইছে কেন্দ্র। এমনটাই খবর সরকারি সূত্রে।

তাই পরিযায়ী শ্রমিকের দলকে আটকাতে এবার তৎপর হয়ে রাজ্যগুলোর কাছে নির্দেশ পাঠাল কেন্দ্র। সেই নির্দেশে বলা, ‘প্রয়োজনে যে মালিক, শ্রমিকের দায়িত্ব নিচ্ছেন না, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ব্যবস্থা নেওয়া হোক সেই সব বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে, যারা ভাড়াটেদের ঘর ছাড়তে বলছেন। আর্ত, দুঃস্থ ও এই অসহায় শ্রমিকদের খাওয়ার ও আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করুক রাজ্য। পরিযায়ী শ্রমিকদের মালিকপক্ষকে বলা হোক ব্যবস্থা করে দিতে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করার প্রয়োজনীয় তহবিল রাজ্যগুলর কাছে আছে।’

সেই আবেদনে আরও বলা, ‘রাজ্যে ঢোকা সব যাত্রীবাহী বাসকে সীমান্তেই আটকে দিক প্রশাসন। সেখানেই কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র গড়ে ১৪ দিনের জন্য সেই যাত্রীদের রাখা হোক। খাওয়ার-সহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের জোগান মজুত রাখা হোক।’ লকডাউনের কার্যকারিতা বাস্তবায়িত করতে আরও কঠোর হোক রাজ্য প্রশাসন। সবার স্বার্থে এই পদক্ষেপ জরুরি। এমনটা উল্লেখ সেই আবেদনে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ