Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোয়ারেন্টাইনের বদলে নিউ ইয়র্কসহ তিন রাজ্যে ‘ভ্রমণ বিধিনিষেধ’ জারি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২০, ৭:০১ পিএম

নিউ ইয়র্কসহ তিন রাজ্য লকডাইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বদলে তিনি নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি এবং কানেক্টিকাটে ‘ভ্রমণ বিধিনিষেধ’ জারি করবেন। ওই তিন রাজ্যের গভর্নররা এই বিধিনিষেধ কার্যকর করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে শনিবার দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পরে ট্রাম্প আভাস দিয়েছিলেন, কোভিড-১৯-এর বিস্তার কমাতে গোটা নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি ও কানেকটিকাটের কিছু অংশে কোয়ারেন্টাইন আরোপ করা হতে পারে। এখন তিনি বলেছেন, নিউ ইয়র্ককে কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রয়োজন পড়বে না। পরে শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর ডিজিজেস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনসন’ (সিডিসি) তিন রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য ‘অবিলম্বে ১৪ দিন গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন ভ্রমণ’ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা জারি করে। পরে সংস্থাটির ওয়েবসাইট এবং তার টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে জানানো হয় এই নির্দেশিকাটি ‘গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো কর্মী’দের জন্য প্রযোজ্য নয়। এর মধ্যে রয়েছে ট্রাকিং, জনস্বাস্থ্য পেশাদার, আর্থিক পরিষেবা এবং খাদ্য সরবরাহকারী কর্মীরা।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৭৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২২৯ জন। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল বলছে, আক্রান্তদের মধ্যে ৫৩ হাজার ৫১০ জন নিউ ইয়র্কের। শহরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট প্রাণহানির সংখ্যা ৬৭২।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিউ ইয়র্কে। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, নিউ ইয়র্কে কোয়ারেন্টান আরোপের কথা ভাবা হচ্ছে। সে সময় তিনি বলেন, ‘এখানে কোয়ারেন্টাইন আরোপ করা হলে ভালো হবে, কারণ এটি হটস্পট। আমি এ নিয়ে ভাবছি।’ ট্রাম্প তখন আরও জানিয়েছিলেন, নিউ ইয়র্ক থেকে যেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য রাজ্যে করোনা ছড়িয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

ট্রাম্পের সেই অবস্থানের সঙ্গে একমত হননি নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো। তার দাবি, এ ধরনের পদক্ষেপ ভ্রান্তি তৈরি করবে এবং তা আমেরিকানবিরোধী সিদ্ধান্ত। নিউ ইয়র্কে এমনিতেই কোয়ারেন্টাইনমূলক পদক্ষেপ চলছে, সেখানে গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা আছে, জনগণকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর চেয়ে বেশি পদক্ষেপ নিলে তা লকডাউনের মতো অবস্থা হয়ে যাবে। এতে আর্থিক খাত অচল হয়ে পড়বে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন কুমো।

এর পরপরই এক টুইটার পোস্টে ট্রাম্প জানান, নিউ ইয়র্ককে কোয়ারেন্টাইনে নেয়ার প্রয়োজন হবে না। টুইটার পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘কোয়ারেন্টাইনের বদলে নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি ও কানেকটিকাটে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করবে সিডিসি।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউজ করোনা ভাইরাস টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী নিউ ইয়র্ককে কোয়ারেন্টাইনে না নেয়ার নতুন এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর: বিবিসি, নিউ ইয়র্ক টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ