গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন কেউ শনাক্ত হয়নি। এ ছাড়া, এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৫ জন। পাশাপাশি মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন।রোববার (২৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা ১০৯টি নমুনা পরীক্ষা করেছি। এর মধ্যে কারোর দেহেই করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। তার মানে সর্বমোট সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৪৮। ইতোমধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
অনলাইনে ব্রিফিংয়ে যোগ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে তিন লাখ পিস পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বিতরণ করেছি। প্রত্যেকদিন ২০-৩০ হাজার পিপিই পাচ্ছি। আমদানির জন্য অর্ডার দেওয়া আছে। এপ্রিলের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সবগুলো চলে আসবে। পাঁচ লাখ পিস অর্ডার দেওয়া আছে।
তিনি বলেন, গতকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। তারা কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। সে সময় আরও ১০টি দেশ ছিল। তারা সন্তুষ্টি জানিয়েছে। জাতিসংঘও সন্তুষ্টি জানিয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের কাছে ৫০০ ভেন্টিলেটর আছে। ইতিমধ্য আরো ২৫০ টি ভেন্টিলেটর এসেছে। সেগুলো বিভিন্ন হাসপাতালে স্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া, ইমপোর্টে আছে আরও সাড়ে তিন শ। অনেক বড় দেশেও এতগুলো ভেন্টিলেটর থাকে না।আমরা অনেক আগে প্রস্তুতি নিয়েছি বিধায় বাংলাদেশ ভালো আছে। ইউরোপ, আমেরিকার অবস্থা কেমন, সে বিষয়ে আপনারা জানেন’, যোগ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।