মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের যে উহান শহর থেকে করোনাভাইরাস মহামারির স‚চনা হয়েছিল - সেই শহরটি দুই মাসেরও বেশি সময় অবরুদ্ধ রাখার পর শনিবার আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে।
বলা হচ্ছে, শহরটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
লোকজনকে শহরের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হলেও কাউকে বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না। শহরের রেল স্টেশনে পৌঁছে লোকেরা জানুয়ারি মাসের পর আত্মীয় স্বজনের সাথে এই প্রথম দেখা করতে পারায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
হুবেই প্রদেশের রাজধানী এই উহান শহরে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং এই রোগে হুবেই প্রদেশে কমপক্ষে তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
সরকারি হিসেবে দেখা যাচ্ছে, চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ও নাটকীয় হারে কমে গেছে। শুক্রবার সারা দেশে মাত্র ৫৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এদের সবাই চীনের বাইরে থেকে এই ভাইরাসটি নিয়ে এসেছেন বলে বলা হয়।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে উহান শহরে বন্যপ্রাণীর একটি বাজার থেকে আকস্মিকভাবেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। এর প্রকোপ ঠেকাতে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে শহরটিকে শুধু চীন থেকে নয়, সারা বিশ্ব থেকেই বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়।
এর পর দু'মাসেরও বেশি এই এখানকার সবকিছু বন্ধ ছিল। ফলে কার্যত বন্দী হয়ে পড়ে শহরের এক কোটি দশ লাখেরও বেশি বাসিন্দা। কিন্তু আজ থেকে শহরটি ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া শুরু হয়েছে।
শহরের ১৭টি ট্রেন স্টেশন এবং পাতাল রেলসহ অল্প কিছু যানবাহন চলাচলও শুরু হয়েছে। লোকজনকে শহরে আসতে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও কেউ বের হতে পারছেন না।
এজন্য তাদেরকে আরো দু'সপ্তাহ অর্থাৎ ৮ই এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। উহান ছাড়া হুবেই প্রদেশের অন্যান্য শহরও বহির্বিশ্বের জন্যে খুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রায় তিন মাস পর উহানে ফিরে এসেছেন ১৯ বছর বয়সী ছাত্র গু লিয়াংকাই। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, তিনি খুব খুশি কারণ পরিবারের সবার সঙ্গে তার আবার দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, "সবাইকে আমি জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এখন যেহেতু খারাপ সময় যাচ্ছে - তাই আমরা এ থেকে বিরত থাকছি।"
শুধু মাত্র তাদেরকেই শহরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে যাদের মোবাইলের একটি অ্যাপে সবুজ রঙ দেখা যাচ্ছে। এই সঙ্কেতের অর্থ তিনি সুস্থ আছেন।
বেইজিং থেকে বিবিসির সাংবাদিক স্টিফেন ম্যাকডোনেল বলছেন, সামাজিক দ‚রত্ব বজায় রাখা, লোকজনকে ঘরে থাকতে বাধ্য করা, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া এবং বিদেশি নাগরিকদের চীনে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ- এরকম কঠোর পদক্ষেপের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।