পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝেই পদ্মা সেতুতে বসলো ২৭তম স্প্যান। গতকাল সকাল ৯টা ২০ মিনিটের সময় জাজিরা প্রান্তের ২৭ ও ২৮ নম্বর খুঁটির ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। যার মাধ্যমে সেতুর ৪ হাজার ৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো। এর আগে গত শুক্রবার সকাল ৮টায় মুন্সিগঞ্জের কুমারভোগ জেটি থেকে শক্তিশালী ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই স্প্যানটি নিয়ে রওয়ানা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় জাজিরা প্রান্তে এসে পৌঁছায়।
পদ্মাসেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, পদ্মা সেতুর ২৭তম স্প্যান বসানোর মধ্যদিয়ে ৪ হাজার ৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো। গতকাল সকাল ৯টা ২০ মিনিটে জাজিরা প্রান্তে ২৭-২৮ নম্বর পিলারের ওপর ২৭তম স্প্যানটি বসানো হয়েছে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, দেশে করোনাভাইরাস আতঙ্ক থাকলেও পদ্মা সেতুর কাজ থেমে নেই। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি আরও দুটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ নিয়ে প্রস্তুতিও চলছে। বিস্ময়কর হচ্ছে, যে দুটি খুঁটির মধ্যে এই স্প্যান বসছে তার একটি ২৭ নম্বর খুঁটি। এই খুঁটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে গত ১৬ মার্চ। এরপর কিউরিং করা হয়। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরই এটি উঠনো হয়েছে। খুঁটি তৈরির পর এত অল্প সময়ে স্প্যান উঠানোর ঘটনা এই প্রথম। যেহেতু এই ‘৫সি’ নম্বর স্প্যান রেডি করে একদম জেটির সামনে রাখা ছিল। তাই এটিই আগে স্থাপন করতে হয়েছে।
২৭ নম্বর স্প্যানটি ওঠানোর কথা ছিল আগামী ৩১ মার্চ। তবে আগেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ায় তিনদিন আগেই এটি উঠানো হল। পদ্মা সেতুর মূল ভিতও এখন সম্পন্ন। ৪২টি খুঁটির ৪১টি সম্পন্ন এখন। বাকি শুধু এখন ২৬ নম্বর খুঁটি। খুঁটির সর্বশেষ প্রক্রিয়া ক্যাপ। এই খুঁটিরও ক্যাপের রড বাধাই হয়ে গেছে। এই খুঁটিটি সম্পন্ন করার টার্গেট রয়েছে আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে। তবে এর আগেই সম্পন্ন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
গত ফেব্রæয়ারিতে তিনটি স্প্যান বসলেও মার্চে বসেছে দুটি স্প্যান। গত ১০ মার্চ ২৮ ও ২৯ নম্বর পিলারে ‘৫ডি’ নম্বরের ২৬তম স্প্যানটি বসানো হয়। এতে সেতুর ৩৯০০ মিটার দৃশ্যমান হয়। ২৭তম স্প্যান স্থাপনের পর পুরোপুরি দৃশ্যমান হতে আর মাত্র বাকি ১৪টি স্প্যান। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুতে ৪১টি স্প্যান বসবে। এরই মধ্যে মাওয়ায় পৌঁছে গেছে ৩৯টি স্প্যান। বাকি রয়েছে মাত্র ‘২ই’ ও ‘২এফ’ নম্বরের দুইটি মাত্র স্প্যান। চীনে করোনাভাইরাসের কারণে এই দুটি স্প্যান আসতে বিলম্ব হচ্ছিল। চীনের উহানের পরিস্থিতি স্বভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার কারণে এই দুই স্প্যান ২০ এপ্রিলের দিকে মাওয়ার পৌঁছানোর টার্গেট রয়েছে।
চৈনিক নববর্ষের ছুটিতে চীনে গিয়ে যেসব কর্মীরা আটকে ছিলেন এদের অনেকে ফিরে এসে কোয়ারেন্টাইন সফলভাবে সম্পন্ন করার পর কাজে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও ওয়েল্ডিংয়ের কাজে ছয়টি রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে। গত ৮ মার্চ থেকে ছয়টি রোবট সফলভাবে কাজ করছে। চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির (এমবিইসি) নিজস্ব এই রোবটগুলো চীন থেকে আনা হয়।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটি দ্বিতল হবে, যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।