নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস ইস্যুতে সরকারকে সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। করোনাভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরীর জন্য নিজেদের ব্যবহারের মাঠ ছেড়ে দেয়াসহ তারা সরকারকে সব ধরণের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।
আগের দিন স্থানীয় এক টেলিভিশনকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও বাফুফে প্রধান কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছিলেন যে, তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে বসে আছেন। সরকার চাইলে করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় তাদের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব কিছুই করা হবে। গতকালও একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন পাপন ও সালাউদ্দিন।
করোনাভাইরাসের সংক্রামণ রুখতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের সব বড় বড় সংস্থা। আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াও কোয়ারেন্টাইনের জন্য ব্যবহার করতে তারা খুলে দিচ্ছে নিজেদের স্টেডিয়ামগুলো। ইতালি, স্পেন, ব্রাজিল থেকে ভারত পর্যন্ত সব বড় বড় স্টেডিয়ামই করোনা প্রতিরোধে ব্যবহারের অনুমতি পাচ্ছে। করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরিতে কলকাতারা ইডেন গার্ডেন, হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম, রিয়াল মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ও ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়াম ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রধান দুই খেলা ক্রিকেট ও ফুটবলের কর্তারা কি ভাবছেন এ নিয়ে। তারাও কি অসহায়দের আর্থিক সহযোগিতা করার পাশাপাশি তাদের ব্যবহৃত মাঠগুলো ছেড়ে দেবেন করোনাভাইরাস মোকাবেলায়।
এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন,‘আমরা তো বসে আছি সরকারের সবুজ সংকেতের আশায়। সরকারের যখন যা সাহায্যের দরকার পরবে আমরা তা করবো। সরকার যা বলবে আমরা সাথে সাথে তা দিতে রাজি আছি। এই দূর্যোগের সময় আমরা সরকারকে দেয়ার জন্য বসে আছি। আপনারা জানেন আমাদের খেলোয়াড়রা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে, তাদের মাসিক বেতনের অর্ধেক টাকা তারা অসহায়দের সহযোগিতার জন্য দেবে। এ ধারাবাহিকতায় ২৭ ক্রিকেটার প্রায় ৩১ লাখ টাকা হাতে নিয়ে বসে আছে। বিসিবিও আর্থিক সহযোগিতা দেয়ার জন্য বসে আছে। শুধু আর্থিক সহযোগিতাই নয় কোয়ারেন্টাইনের জন্য আমরা স্টেডিয়ামও ছেড়ে দিতে প্রস্তুত আছি। যে কোন সহযোগিতা লাগে তা করতে রাজি আছি আমরা।’
বিসিবির মতো বাফুফেও অপেক্ষায় আছে সরকারের সবুজ সংকেতের। সরকার চাইলে তারাও সব ধরণের সহযোগিতা করতে রাজি আছে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের কথায়,‘যদি আমরা সরকারের কোন উপকারে আসতে পারি তাহলে তা অবশ্যই করবো। যার যেটা দরকার লাগে, আমরা যেটা করতে পারি সবকিছুই দিয়ে দেবো। বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের অবস্থা হল ‘আমরা দিন আনি দিন খাই’। কিন্তু তার মধ্যেও যদি কোনো রকম আর্থিক সুবিধা দিতে হয় খেলোয়াড়সহ অসহায় মানুষদের তাহলে আমরা যেভাবেই হোক তা ম্যানেজ করে দেবো। যদি সরকারের প্রয়োজন পড়ে তাহলে কোয়ারেন্টাইনের জন্য আমরা স্টেডিয়ামও ছেড়ে দেবো। যা যা দরকার তার সবই করবো দূর্যোগ মোকাবেলায়। আসলে এখন সবার ঘরে থাকা দরকার নিজের জন্যই। তাই আমাদের চেষ্টা করা উচিত যতটা হোক নিরাপদে সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকা।’
তবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরিতে মাঠ বা স্টেডিয়াম ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন ও বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ অভিন্ন সুরেই কথা বলেন। তাদের বক্তব্য, ‘আমাদের স্টেডিয়ামগুলোর মালিক সরকারই। ইচ্ছে করলে যে কোন কাজে সরকার স্টেডিয়ামগুলো ব্যবহার করতে পারেন।’ তারা জানান, স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ স্টেডিয়াম, কোলকাতার ইডেন গার্ডেন ও হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়াম বরাদ্দের সঙ্গে শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম বরাদ্দের তুলনা করলে ভুল করা হবে। ইডেন গার্ডেন হল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) নিজস্ব মাঠ। আর রাজিব গান্ধী স্টেডিয়াম হায়দরাবাদ রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশের মাঠ। একইভাবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যু হচ্ছে স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদের নিজস্ব মাঠ। কাজেই ওই মাঠগুলোর মালিকরাই সেগুলো করোনাভাইরাসের কায়ারেন্টাইন তৈরীতে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। বাংলাদেশের কোন স্টেডিয়াম ব্যক্তিমালিকানাধীন নয়। এগুলো সরকারী সম্পত্তি। যা পরিচালনা করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। তাই দেশের চরম সঙ্কট মূহূর্তে সরকার যেভাবে চাইবেই সেভাবেই ব্যবহার করবেন স্টেডিয়ামগুলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।