Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মারাত্মক ঝুঁকিতে স্পেন-ইতালির স্বাহ্যকর্মীরা

আক্রান্ত ৫,১০,৬৪৫, মৃত ২৩০৭৯, সুস্থ ১,২২,২৪৫ : ফিলিপাইনে করোনায় আক্রান্ত ৯ চিকিৎসকের মৃত্যু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২০, ১২:০৩ এএম

ইসরাইলে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা মহামরি। প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ ১০ হাজার ৬৪৫ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ২৪৫ জন। আক্রান্তদের সেবা দিতে গিয়ে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরাও। শুধু ফিলিপাইনে এই ভাইরাসের কারণে ৯ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছে দেশটির মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
ফিলিপাইন মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা যথাযথ সুরক্ষা সামগ্রী পাচ্ছে না। সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট বেনিতো আতিয়েঞ্জা বলেন, যারা সামনের সারিতে থেকে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন তাদের এখনই পরীক্ষা করা উচিত। সাত দিন পর আবারও পরীক্ষা করা উচিত। দেশটিতে করোনায় নতুন করে ৭ জনের মৃত্যু ও ৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে ফিলিপাইনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০৭ এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের।
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, করোনাভাইরাসে তার দেশের ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। ইসরাইলের চ্যানেল নিউজ ১২-কে দেয়া তিনি সাক্ষাৎকারে গত বুধবার এ হুঁশিয়ারি দেন।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ইতালি ও স্পেনে। প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম এবং টেস্ট কিটের অপ্রতুলতার কারণে তারা প্রচন্ড ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। স্পেনের জাতীয় গর্বের একটি বিষয় হচ্ছে দেশটির সার্বজনীন ব্যবস্থা। উন্নত স্বাস্থ্যসেবার কারণে দেশটির নাগরিকদের গড় আয়ু অনেক বেশি। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে ব্যহত হচ্ছে সেখানকার স্বাহ্যসেবা। সম্প্রতি স্পেনের দুটি হাসপাতালে দেখা গেছে করিডোর ও জরুরি কক্ষগুলোও ভরে গেছে আক্রান্ত রোগীতে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক হাসপাতালের জিমে ও বাইরে তাবু খাটিয়ে রোগীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্পেনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত চিকিৎসা কর্মীদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৬০০। তাদের মধ্যে ১৩.৬ শতাংশই স্বাস্থ্যকর্মী। আবার এই সংখ্যা দেশটিতে কর্মরত মোট স্বাস্থ্য কর্মীর প্রায় ১ শতাংশ। তাদের মধ্যে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট মাদ্রিদের দে লা পাজ হাসপাতালের নার্স লিডিয়া পেরেরা বলেন, ‘আমরা ভেঙে পড়ছি। আমাদের আরও কর্মী দরকার।’ তিনি জানান, হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে কেবল লক্ষণ দেখা গেলেই ভাইরাসের জন্য পরীক্ষা করা হয়।
স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি ‘উদ্বেগজনক’ জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, ‘অন্য সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও, আমরা যদি স্বাস্থ্যকর্মীদের রক্ষা করার বিষয়টি অগ্রাধিকার না দিই, তবে অনেক লোক মারা যাবে। কারণ, যে স্বাস্থ্য কর্মীরা তাদের জীবন বাঁচাতে পারতেন, তারাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’
একই চিত্র ইতালিতেও। সেখানে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত। তাদের ১০ শতাংশই চিকিৎসক ও স্বাহ্য কর্মী। তারা প্রতিদিনই সরকারের কাছে আরও মাস্ক, গøাভস এবং গগলস সরবরাহ করতে অনুরোধ জানিয়ে আসছেন। ইতালীর গণমাধ্যমগুলো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে অন্তত ১৯ জন স্বাস্থ্য কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে।
চিকিৎসকরা অর্থনৈতিক সংকটের কারণে স্বাহ্যসেবা ক্ষেত্রে দশকের দশক ধরে বাজেট কমিয়ে হাসপাতালগুলো সংকটে ফেলেছেন বলে স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষকে দায়ি করেছেন। বিশ্ব স্বাহ্য সংস্থাও (হু) স্বাহ্য কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দিক-নির্দেশনা জারি করেছে। সূত্র : টিওআই, আল-জাজিরা।

 



 

Show all comments
  • Abdullah Al mamun ২৭ মার্চ, ২০২০, ৯:৫১ এএম says : 0
    Allah safe all people but not Izrawel.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ