Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিশেহারা ভারতের শিক্ষার্থী ও শ্রমিকরা

করোনার আগেই হয়তো না খেয়ে মারা যাবার শঙ্কা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০২০, ১২:০৭ এএম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারত জুড়ে চলা লকডাউনের মধ্যে দিশেহারা অবস্থায় পড়েছেন সেখানকার শ্রমিক ও শিক্ষার্থীরা। নিজ নিজ শহরে ফেরার অনুমতি পেতে হায়দ্রাবাদের বিভিন্ন থানার সামনে ভিড় করছেন শত শত মানুষ। সামাজিক শিষ্টাচার (সোস্যাল ডিসট্যান্সিং) অমান্য করে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন তারা। অন্ধ্রপ্রদেশ- তেলেঙ্গানা সীমান্তেও একই ধরনের ভিড় দেখা গেছে। অন্ধ্র পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় সীমান্তে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছে শত শত গাড়ি। দেশটির স¤প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ২১ দিন ভারত জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সময়ে সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। আর সবাইকে ঘরে রাখতে রাস্তায় রাস্তায় টহল জোরালো করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। বুধবার থেকে শুরু হওয়া সরকারি এই পদক্ষেপে বিড়ম্বনায় পড়েছে দেশটির লাখ লাখ দিনমজুর। তেলেঙ্গানায় কাজ করা অনেক শ্রমিক এবং শিক্ষার্থী ম‚লত অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। এদের অনেকেই বাড়ি ফেরার অনুমতি পেতে তেলেঙ্গানার কুকাটপালি থানার সামনে জড়ো হয়েছে। আবার তেলেঙ্গানা-অন্ধ্র সীমান্তেও অনেকে ভিড় করছেন। ঘটনাস্থলের ভিডিও শেয়ার করে অশোক নামের একজন বলেছেন, ‘বহু শিক্ষার্থী বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন। সকাল থেকে তারা অপেক্ষায় রয়েছেন কিন্তু অন্ধ্র প্রদেশে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না’। ঘটনাস্থল থেকে এক তরুণ এনডিটিভিকে বলেন, ‘হোস্টেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং খাবার সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়ায় কয়েক দিন ধরেই আমাদের অন্য কোনও উপায় নেই’। অপর এক খবরে বলা হয়, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে ভারতে লকডাউন শুরু হওয়ায় সেখানকার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে দিনমজুর যারা কোনোরকম খেটে খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তাদের ওপর এর খুবই খারাপ প্রভাব পড়েছে। বিবিসির সাংবাদিক বিকাশ পান্ডে দেশটিতে এই অবস্থায় সামনের দিনগুলোতে কীভাবে খেটে খাওয়া এসব দিনমজুর তাদের সংসার চালাবেন তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন। অনুসন্ধানে তিনি দেখেছেন, করোনার চেয়েও দেশটিতে না খেয়ে মরার ভয় বেশি। তিনি খবর নিয়েছেন রাজধানী দিল্লির শহরতলী অঞ্চল নয়ডার লেবার চক কাজের খোঁজে থাকা নির্মাণ শ্রমিকদের। ভবন নির্মাতারা এই জায়গায় এসে শ্রমিক ভাড়া করে নিয়ে যান। কিন্তু জনতা কারফিউ চলাকালে রবিবার সকালে তিনি যখন ঐ এলাকায় আসেন তখন এলাকাটি ফাঁকা, পুরোপুরি শান্ত, চুপচাপ। এদিক ওদিক তাকিয়ে এক কোণে কয়েকজন লোককে দেখতে পান তিনি। কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারেন যে, আমরা খুব ভয়ে আছি। এভাবে চলতে থাকলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।’ বিবিসি, এনডিটিভি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ