Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উদ্বিগ্ন কূটনীতিকরা ঢাকা ছাড়ছেন

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২০, ১:৫৭ পিএম

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে কূটনীতিকদের। সেই সঙ্গে অনাস্থা রয়েছে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নিয়ে। এ প্রেক্ষাপটে পরিবার নিয়ে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশী কূটনৈতিক মিশন ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা। ঢাকার বিভিন্ন দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কিটের সংকটে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টেস্ট ঠিকমতো হচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশে ঠিক কতজন রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তার সঠিক কোনো হিসাব সরকারের কাছে নেই। যাদের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বা যাদের মধ্যে এ রোগের লক্ষণ বেশি দেখা যাচ্ছে, শুধু তাদেরই পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ কারণে সরকারের পক্ষ থেকে আক্রান্ত রোগীর যে সংখ্যা বলা হচ্ছে, তাতে আস্থা নেই কূটনীতিকদের। এ অবস্থায় বাংলাদেশে অবস্থান নিরাপদ মনে করছেন না অনেকেই। নিজ নিজ দেশের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবার নিয়ে ঢাকা ছাড়ছেন কূটনীতিকরা। বিশেষ করে থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন তারা।
গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইতালি ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করোনা সেলের প্রধান অতিরিক্ত সচিব ডা. খলিলুর রহমানের বৈঠক হয়। বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ, পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ, কনস্যুলার ও কল্যাণ, আফ্রিকাসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচ মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় থাকা বিদেশী কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যেসব কূটনীতিক ফিরে যেতে চান, তাদের যাওয়ার ব্যবস্থা সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন কূটনীতিকরা।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, কূটনীতিকদের সুবিধার্থে যুক্তরাজ্য ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল খোলা রেখেছে সরকার। কারণ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কোনো দেশ তার উড়োজাহাজ পরিচালনা বন্ধ করেনি। জাতিসংঘসহ অনেক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যাংককে আঞ্চলিক প্রধান কার্যালয় স্থাপন করেছে। ব্যাংককে যাদের আঞ্চলিক প্রধান কার্যালয় রয়েছে, তারা যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে সেখানে যেতে পারেন। ফলে সেই বিবেচনায় যুক্তরাজ্য ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল খোলা রাখা হয়েছে।
পশ্চিমা দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, পুরো বিশ্বে যখন করোনাভাইরাস শনাক্ত ও এর মোকাবেলার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে পরীক্ষা করা। সেখানে বাংলাদেশে পরীক্ষার সংখ্যা কম, যা উদ্বেগের। যেখানে দক্ষিণ কোরিয়া বা অন্যান্য দেশ একই ব্যক্তির একাধিকবার পরীক্ষা করছে, সেখানে কিছু লক্ষণ থাকা রোগীর একবারও পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না এখানে। এতে সরকার থেকে যে সংখ্যা বলছে তা বাস্তব চিত্র নয় বলে বিশ্বাস কূটনীতিকদের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আবাসিক কূটনীতিকরা এখানকার বাস্তবতা অনুধাবন করতে পারেন। আর এ কারণেই এরই মধ্যে পরিবার নিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। তবে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ও জরুরি কার্যক্রম চালানোর জন্য কর্মকর্তারা কাজ করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ