পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধিতে ভাটার টান অর্থবছরের শুরু থেকেই। এখন পর্যন্ত তার নিম্মমুখী ধারা অব্যাহত। গত আট মাস ধরে টানা নামছে বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি। অন্যদিকে বেড়েই চলেছে সরকারের ঋণের বোঝা। যাকে অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের বলছেন বিশ্লেষকরা।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রæয়ারি শেষে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৮৯৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এই অংক গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। সুদের হার বেশি হওয়ার কারণে এতদিন এমনিতেই ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা ঋণ নিচ্ছিলেন না। এমন অবস্থায় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী এপ্রিল থেকে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ পাওয়া যাবে।
এই আশায় কেউই হয়তো ঋণ নিচ্ছেন না। ফলে ঋণের প্রবৃদ্ধি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ঋণের এই নিম্নগামী পরিস্থিতি আরও কিছুদিন থাকতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আর্থিক খাতে। এই মহামারির শেষ কোথায় তা কেউ জানে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০১৯ সালের ফেব্রæয়ারির শেষে বেসরকারি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৭০ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা। জুন শেষে এর পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ১০ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে স্বাভাবিক আমদানি বন্ধ, রফতানিও অনেকটা বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশেও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে ৩৯ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন। ইতোমধ্যেই আর্থিক খাতে করোনার প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। এই প্রভাব কমাতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন সরকার। তবে দেশের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা যাতে ব্যাংক সেবা পেতে পারেন সে দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।