Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভূরুঙ্গামারীতে কিস্তি আদায়ে সংকটকালীন নিষেধাজ্ঞা মানছে না এনজিওগুলো

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২০, ৬:০২ পিএম

দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পরা করোনা ভাইরাসের কারণে সব ধরনের ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও তা মানছেন না কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার এনজিওগুলো।

গত মঙ্গল ও বুধ বার (২৪/২৫ মার্চ) সকালে বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান এর কর্মকর্তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে কিস্তির টাকা আদায় করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সূত্রে জানা যায়,সংকটকালে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য সরকারের নির্দেশে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এনজিও ঋণ শেণিকরণ কার্যকর হবেনা বলে নির্দেশনা জারি করেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। এ নির্দেশনার ফলে আগামি জুন পর্যন্ত কোন ঋণ গ্রহীতাকে কিস্তির জন্য কোন চাপ দেয়া যাবে না। সেই সাথে নির্ধারিত সময় শেষে কোন প্রকার জরিমানা ছাড়াই বকেয়া কিস্তি গ্রহন করে ঋণ শ্রেণিকরন করতে হবে। কিন্তু ভূরুঙ্গামারীতে কিছু কিছু এনজিও এ নির্দেশনা না মেনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে কস্তির টাকা আদায় করছেন। এ বিষয়ে উপজেলার কাশিম বাজার এলাকার বাসিন্দা উপেন্দ্রনাথ বাবু অভিযোগ করে বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশ যখন আক্রান্ত সেই সময় এনজিও টিএমএস এর ম্যানেজার ও মাঠকর্মীরা আগামি ২৮ তারিখের মাসিক কিস্তি অগ্রীম আদায়ে ব্যসÍ। এটা দু:খজনক। কাশিম বাজার এলাকার আর একজন ঋণ গ্রহীতা শান্তণা রানী বলেন, আমার কোন মাসের কিস্তি খেলাপি নাই। প্রতিমাসের ২৮ তারিখ আমি কিস্তির টাকা দেই। কিন্তু ২৮ তারিখ না আসতেই টিএমএসএস এর মাঠ কর্মী কিস্তির জন্য বার বার চাপ চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের আয় নাই তাই কস্তির টাকা এখন দিতে পাবো না। কিন্তু তারা মানছে না।

বিষয়টি নিয়ে টিএমএমএস মাঠ কর্মী ফারুক আহমেদ বলেন, ঋণ গ্রহিতারা তো নিয়মিত কিস্তি পরিশোধের কমিটমেন্ট দিয়েই ঋণ নিয়েছেন। তাছাড়া মাসিক কিস্তি পরিশোধের সময় যাদের পার হয়েছে কেবল তাদেরকেই চাপ দিচ্ছি। অগ্রীম কিস্তির চাপ দেই নাই। চাপ না দেওয়ার জন্য সরকারি নির্দেশের কথা বললে তিনি বলেন, অফিস তো টাকা চাচ্ছে। এ বিষয়ে টিএমএসএস কাশিম বাজার শাখার ব্যাবস্থাপক হারুন অর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রলি পর্যন্ত সরকার সাধারন ছুটি ঘোষণা করেছে তাই বাড়ি যাবার আগে কিস্তির টাকাগুলো উঠানো তাদের জন্য জরুরি। তিনিও অগ্রীম কিস্তি আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এনজিও ‘উদ্দীপন’ ভূরুঙ্গামারী শাখার ব্যবস্থাপক আজিজুল হক বলেন, কিস্তি চালু আছে তবে চাপ দিচ্ছিনা। যারা দিতে পারছেন কেবল তাদেরটাই নিচ্ছি। সরকারি নির্দেশের কথা মনে করিয়ে দেয়ায় তিনি বলেন, আমি সকল মাঠ কর্মীদেরকে ডেকে পাঠাচ্ছি।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরুজুল ইসলামকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ভূক্তভোগিদের লিখিত অভিযোগ করতে বলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এনজিও

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ