Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনার বিরুদ্ধে লড়তে গবেষণাগারে ৬৯ ধরনের ওষুধ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০২০, ১২:৫৬ এএম

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রায় ৬৯ ধরনের ওষুধ এবং পরীক্ষামূলক যৌগগুলি কার্যকর হতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক দল গবেষক। রবিবার রাতে গবেষক দলটি এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দুই ডজন ওষুধ ইতিমধ্যে তদন্তাধীন। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে ক্লোরোকুইন, ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি ওষুধ।

বাকিগুলির মধ্যে কিছু ওষুধ অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং করোনার চিকিৎসার জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনা সংক্রমণে সৃষ্ট অসুস্থতা এই মহামারীর প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টার চেয়েও দ্রুততর।

করোনভাইরাস ফুসফুসের কোষকে সংক্রামিত করতে কোষটির নিজস্ব জিনগত ক্রিয়াকে অকেজো করে সেটির ভেতরে প্রবেশ করতে এবং কোষের প্রটিন প্রতিস্থাপন করে ভাইরাল প্রোটিন উৎপাদন শুরু করে যা লক্ষ লক্ষ নতুন ভাইরাস উৎপাদন করতে শুরু করে।

গবেষকরা এমন ওষুধের সন্ধান করেছিলেন যা মানব কোষের প্রোটিনগুলিকে অবরুদ্ধ করে ফেলে যাতে করোনাভাইরাসটি মানব কোষে প্রবেশ করতে এবং পুনরায় প্রতিস্থাপনে বাধা প্রাপ্ত হয়। তারা আপাতত ক্যান্সার, পার্কিনসন’স এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো আপাতদৃষ্টিতে আন্তঃসম্পর্কহীন রোগগুলির চিকিৎসায় ব্যবহৃত যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন কর্তৃক অনুমোদিত ২৪ টি সম্ভাব্য কার্যকরী ওষুধ সনাক্ত করেছে।

এবং তালিকায় বিভিন্ন এন্টিবায়োটিকও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যেগুলি ব্যাকটিরিয়া কোষের নিজস্ব প্রোটিন তৈরি
ব্যবস্থা ধ্বংস করে সেটিকে মেরে ফেলে। তবে সেসব কিছু ওষুধ মানব প্রোটিনের সাথে যুক্ত থেকে যায়। নতুন গবেষণায় এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াটি করোনার অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা হিসেবে সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।

তালিকার একটি ওষুধ, ক্লোরোকুইন ম্যালেরিয়া সৃষ্টিকারী একক কোষযুক্ত পরজীবীকে মেরে ফেলে। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই জানেন যে এটি সিগমা -১ রিসেপ্টর নামক একটি মানব কোষের প্রোটিনের সাথেও সংযুক্ত হতে পারে। এবং করোনাভাইরাস সেই রিসেপ্টরটিকেও টার্গেট করে।

তবে, নতুন গবেষণার নেতৃত্বদানকারী সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী নেভান ক্রোগান সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে, ক্লোরোকুইনের অনেক বিষাক্ত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। গবেষণার চুড়ান্ত ফলাফল এখনো প্রকাশের অপেক্ষায়। সূত্র : দ্য নিউ ইয়র্ক টাইম্স।



 

Show all comments
  • MD Abdullah Ahmed ২৪ মার্চ, ২০২০, ১:৪৭ এএম says : 0
    সবই টিক কিন্তু বাংলাদেশ আনার পর এটা লাখ টাকা বিক্রি হবে গরিব কিনবে কি ভাবে আর বাংলাদেশ আনার পর এটা নকল করা হবে যে দেশে মাস্ক বিক্রি হয় অনেক টাকায়
    Total Reply(0) Reply
  • MD Tazkir Alam Shobuj ২৪ মার্চ, ২০২০, ১:৪৭ এএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Joya Lal ২৪ মার্চ, ২০২০, ১:৪৮ এএম says : 0
    Amin... ay news jeno sotte hoy ar gota prtheber manosh valo hoye tader atteo sojoner kasr fere...onek khoshe holam ay news sone....
    Total Reply(0) Reply
  • Helal Gazi ২৪ মার্চ, ২০২০, ১:৪৯ এএম says : 0
    Amder dash ki ana jabe na kano vabhe
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ