Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে দড়ি টানাটানি! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার মধ্যপ্রদেশ বিজেপি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২০, ৮:৩২ পিএম

কে হবেন মধ্যপ্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? গত তিনদিন ধরে বিজেপির অন্দরে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল। কমল নাথের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের পতনের পর বিজেপির সরকার গঠনের রাস্তা একেবারে পরিষ্কার। ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। ফলে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার মোট আসন কমে হয়েছে ২০৬। ম্যাজিক ফিগারও কমে দাঁড়িয়েছে ১০৪। নিজেদের শক্তিতেই এখন সরকার গড়ার মত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে গেরুয়া শিবির।

অথচ কমল নাথ সরকারের পতনের পর গত তিনদিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে উঠতে পারেনি গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতাদের দাবি, করোনাভাইরাসের প্রকোপের জন্য রাজনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ। তাই ঘোষণা হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর নাম। যদিও এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারন। আসলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে চিন্তায় ছিল গেরুয়া শিবির। একজন নন, অন্তত ৩ জন দাবিদার ছিলেন ওই পদের। অবশেষে আজ জানা গেল শিবরাজ সিং চৌহানই হবেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং বিধায়ক নরোত্তম মিশ্রর মধ্যে টানাপোড়েন চলেছে অনেক দিন আগে থেকেই।  দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে তর্কও হয়েছে একপ্রস্থ। রাজ্যের কংগ্রেস সরকারে ঘুণ ধরাতে নরোত্তম মিশ্রর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেন তার সমর্থকরা। একইসঙ্গে এই ‘রংপঞ্চমী’ মিশনে শিবরাজের কোনও ভূমিকা নেই বলেও দাবি করেন তারা। মুখ্যমন্ত্রী পদের লড়াইয়ে নাম লিখিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরও। মধ্যপ্রদেশ বিজেপির দাপুটে এবং প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একেবারে উপরের সারিতে উচ্চারিত হয় নরেন্দ্র সিং তোমরের নাম। তিনিও মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন। তবে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের প্রথম পছন্দ শিবরাজ সিং চৌহানই। তাই, তার নামেই পড়ল সিলমোহর।

মধ্যপ্রদেশের দাপুটে নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগ দেয়া ঘিরে বিজেপির অন্দরেই ফাটল তৈরি হয়েছে। অনেকেই সিন্ধিয়ার যোগদানের বিরোধিতা করছেন। এই পরস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পদকে কেন্দ্র করে যদি নতুন সংকট তৈরি হয়, তাহলে তা বেশ চিন্তায় রাখবে গেরুয়া শিবিরকে। যদিও শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে শিবরাজকেই মুখ্যমন্ত্রী বাছা হল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। সূত্র: টিওআই।

 

কি-ওয়ার্ড: মধ্যপ্রদেশ, মুখ্যমন্ত্রী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিজেপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ